বর্ধিত হারে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে নারাজ বিজেপি সমর্থিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী পরিষদ। সূত্রে খবর, বুধবার সরাসরি রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে একটি চিঠি পাঠিয়ে পরিষদের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এই চিঠিতে যে যুক্তি বিজেপি সমর্থিত কর্মচারী পরিষদের তরফ থেকে দেখানো হয়েছে তা হল, বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে শীর্ষ আদালতে তাঁরা ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করেছে, তা বিচারাধীন য।সেই মামলার ফয়সালা হওয়ার আগে নবান্নের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রশ্নই ওঠে না।
একই যুক্তি শোনা গেছে অপর একট কর্মচারী সংগঠন ইউনিটি ফোরামের কথাতেও।
এদিকে ডিএ নিয়ে আন্দোলনকারী রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন ও রাজ্য সরকারকে বৈঠকে বসতে দশদিন সময় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ১৭ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যকে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে নির্দিষ্ট সময়ে বৈঠক না-হওয়ায় সোমবার ওই বেঞ্চ ফের ১০ দিনের মধ্যে আলোচনায় বসার নির্দেশ দেয়। নয়া নির্দেশ মেলার আগেই অবশ্য শহিদ মিনারে ধর্নারত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ আলোচনায় বসার জন্য ৫ জনের একটি প্রতিনিধিদলের নাম রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে পাঠানোও হয়। তাতে ছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তিন সদস্য, কোঅর্ডিনেশন কমিটির নেতৃত্বে যৌথ মঞ্চ ও পরিষদের একজন করে সদস্যের নাম।
এই প্রসঙ্গে পরিষদের রাজ্য সভাপতি দেবাশিস শীল অবশ্য জানান, ‘যেহেতু বিষয়টি দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, তাই এখন ডিএ নিয়ে আলোচনায় বসলে অহেতুক জটিলতার সৃষ্টি হতেই পারে।’ এদিকে ফোরামের কনভেনার দেবপ্রসাদ হালদারের অত্যন্ত স্পষ্টা ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে ডিএ-এর দাবিতে মামলাকারী হিসাবে আমাদের পক্ষে আগাম রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রশ্ন ওঠে না।’