মঙ্গলবারে সিবিআই-এর তরফ থেকে ফের চিঠি অভিষেককে, তবে সুর একেবারেই বদল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার

সিবিআইয়ের তরফ থেকে ফের চিঠি তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। এদিকে সোমবারই সিবিআই-এর তরফ থেকে একটি চিঠি পাঠিয়ে মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে হাজির দেওযার কথা জানানো হয়। আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সেই চিঠি নিয়ে টুইটারে প্রশ্নও তুলতে দেখা যায় অভিষেককে। সরাসরি তিনি তাঁর টুইটে জানতে চান, সুপ্রিম কোর্টের থেকে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরেও কেন এই তলব সে ব্যাপারেই। এরপর মঙ্গলবার ফের নতুন করে অভিষেককে চিঠি পাঠানো হয় সিবিআইয়ের তরফ থেকে। তবে এবারের চিঠির সুর একেবারেই ভিন্ন। কেন সোমবার চিঠি পৌঁছেছিল অভিষেকের কাছে সে ব্যাপারেই গোটা বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের হাজিরার নোটিস স্থগিত রাখার কথা জানানোও হয় মঙ্গলবারের এই নতুন চিঠিতে।
উল্লেখ্য, সোমবার ১৭ এপ্রিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১৬০ সিআরপিসি অনুযায়ী নোটিস পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। সেই চিঠিতে বলা ছিল,মঙ্গলবার হাজিরা দেওয়ার জন্য। এরপই মঙ্গলবার ফের নতুন করে একটি চিঠি সিবিআইকে পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে সই রয়েছে সিবিআই এসিবির। চিঠিতে জানানো হয়েছে, আপাতত ওই হাজিরার নোটিস স্থগিত রাখা হচ্ছে।
এদিকে সোমবার দুপুর থেকেই সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের পর সিবিআইয়ের তরফ থেকে চিঠি আসার পর থেকে বঙ্গ রাজনীতিতে ঝড় ওঠে। তুমুল চর্চাও শুরু হয় সেই নিয়ে। এরই মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই টুইটারে সিবিআইয়ের নোটিসের ছবি টুইটারে শেয়ার করে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে একহাত নেন। তৃণমূল সূত্র মারফত এও জানা যাচ্ছিল, এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার কথাও ভাবছিলেন অভিষেকের আইনজীবীরা। আর এরই মধ্যে সিবিআই-এর তরফে গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে নতুন করে অভিষেককে চিঠি পাঠানো স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এই নিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন জানান, ‘সিবিআই বাধ্য হল ঢোঁক গিলতে। আমরা বার বার অভিযোগ করছি, সিবিআই ও ইডিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটাই প্রথম নয়, এর আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারকে হেনস্থা করা হয়েছে। যা হয়েছে, তা আদালত অবমাননার সামিল। তাই সিবিআইকে ঢোঁক গিলতে হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − ten =