আট লাখ টাকার পেন? মহার্ঘ ‘বেভেরিয়া’ রয়েছে কলকাতাতেই

কলকাতা: একটা পেনের দাম ৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা! শুনে কি বুকে ‘পেইন’ অনুভব করছেন? অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। স্ট্যাডলার কোম্পানির এই পেনের নাম বেভেরিয়া। সেই পেন অতি সম্প্রতি স্থান পেয়েছিল কলকাতার একটি প্রদর্শনীতে। পেন যাতে হাতসাফাই না হয়, তাই কড়া ছিল নিরাপত্তাও। আইসিসিআর-এ স্ট্যাডলারের স্টলে কাচের বাক্স ঘেরা হীরকখচিত মহা মূল্যবান কলমের বাক্সে হাত দিলেই সাইরেন বাজবে, ব্যবস্থা হয়েছিল এমনটাই।
কিন্তু কেন এত দামী এই পেন? কী আছে তাতে?
হীরকখচিত পেনের নিব ১৮ ক্যারেট সোনায় বাঁধানো। পেনের ঢাকনাতে বসানো ভাল কাটের হীরে। পেনের গা সোনার জল করা। আলো পড়লে পেনের ছটায় চোখে ধাঁধা লেগে যাওয়ার জোগাড়। এই পেনের ওজন ২১ গ্রাম। কলকাতার আইসিসিআর-এ স্ট্যাডলারের স্টলে ছিল মহা মূল্যবান এই কলম। প্রদর্শনীর পর এই পেন আপাতত রয়েছে ব্রেবোর্ন রোডের টোবাকো হাউসে। এখানেই স্ট্যাডলারের কলকাতার অফিস।
কয়েকদিন তার ঠাঁই হয়েছিল প্রদর্শনীতে। তারপরও যদি কেউ এই পেন কিনতে চান আসতে হবে ব্রেবোর্ন রোডের টোবাকো হাউসে। সেখানেই স্ট্যাডলারের কলকাতার অফিস। টোব্যাকো হাউসে এই পেন রয়েছে। কিন্তু মাত্র একটিই। গোটা পৃথিবী জুড়ে এই পেনই যে রয়েছে সর্বসাকুল্যে গুটিকয়েক।
সংস্থার কর্মচারীরা জানিয়েছেন, স্ট্যাডলার কোম্পানি মাত্র ৪৮টি মহামূল্যবান পেন তৈরি করেছিল। ভারতের জন্য বরাদ্দ ছিল দুটো। তারই একটি রয়েছে কলকাতায়। সংস্থার পক্ষ থেকে এই পেনের জন্য দু’বছরের ওয়ার‌্যান্টি দেওয়া হয়েছে। কারণ, কোনওভাবে হাত থেকে পড়ে পেন বা পেনের নিব ক্ষতিগ্রস্ত হলে মেরামত করে দেওয়া হবে। এমনকী হীরেরও দু’বছরের ওয়ার‌্যান্টি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৮৩৫ সালে প্রথম জার্মানির এই সংস্থা প্রকাশ্যে আসে। তখন অবশ্য পেন নয়, পেনসিল প্রস্তুত করত। কিন্তু এখন বিশ্বে পেন প্রস্তুতকারক সংস্থার মধ্যে অন্যতম এই সংস্থা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − ten =