নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুন্তলকে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতি চাওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর তরফ থেকে। এবার সিবিআই-এর সেই আবেদন মঞ্জুর করল আদালত। পাশাপাশি জানানো হয়, যে কোনও সময় প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে কুন্তলকে জেরা করতে পারবে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে চাপ দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ জানিয়ে আদালতে চিঠি লিখেছিলেন কুন্তল ঘোষ। একইসঙ্গে আলিপুর আদালতের বিচারককে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দেওয়ার পর হেস্টিংস থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কুন্তল।
পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন এই প্রাক্তন তৃণমূল যুব নেতা। এরও কিছুদিন আগে কিছুদিন আগে কুন্তল ঘোষ আদালত চত্বরে দাবি করেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। ঘটনাচক্রে কুন্তল যে দাবি করেন, অভিষেকের গলাতেও সেই একই সুর শোনা যায় শহিদ মিনারে দলীয় সমাবেশের সবামঞ্চ থেকে। এই চিঠির প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে এবং নির্দেশনামায় জানিয়েছেন, প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এরপরই সোমবার আলিপুর আদালতের নির্দেশ দিয়েছে, দিনের বেলায় জেলে গিয়ে কুন্তলকে জেরা করতে পারবে সিবিআই। জেল সুপারও এই বিষয়ে সহযোগিতা করবেন বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খতিয়ে দেখতে হবে সংশোধনাগারের সিসিটিভি ফুটেজও।
প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে কুন্তল ঘোষকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে বিপুল টাকা তোলার অভিযোগ সামনে এসেছে। কোটি কোটি টাকার হিসেব পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।