কাজে এল না ভেঙ্কটেশ আইয়ারের লড়াই। মুম্বই ইন্ডিয়ানসের জয় ৫ উইকেটে। তবে নজির গড়ে গেলেন ভেঙ্কটেশ। ব্রেন্ডন ম্যাকলামের পর তিনিই দ্বিতীয় নাইট রাইডার্সের ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
রবিবার ভেঙ্কটেশ ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। এরপর ৪৯ বলে পৌঁছান সেঞ্চুরিতে। আর মাত্র দুটি বল খেলে ৫১ বলে ১০৪ রান করে রিলে মেরিডিথের বলে জনসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ভেঙ্কটেশ। ভেঙ্কটেশের ইনিংসে রয়েছে ৬টি চার ও ৯টি ছয়।
মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে দুটো ম্যাচ। তাও আবার এতো গরমে কলকাতা থেকে মুম্বই পর্যন্ত ট্রাভেল করে। এইরকম এক পরিস্থিতিতে খানিকটা চাপেই ছিল থকেকেআরের। যার প্রতিফলন ঘটে নাটইদের ব্যাটিংয়ে। টপ-অর্ডারের একের পর এক ব্যাটসম্যান ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্সের। দ্বিতীয় ওভারেই এন জগদীশনকে (০) তুলে নেন ক্যামেরন গ্রিন। শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। আগের ম্যাচের পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধেও ব্যর্থ নাইট রাইডার্স ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। মাত্র ৮ রান করে পীয়ুষ চাওলার বলে তিনি আউট হন। অধিনায়ক নীতীশ রানাও এই ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ১০ বলে মাত্র ৫ রান করে তিনি ঋত্বিক সোকেনের বলে আউট হন। এরপর কলকাতা নাইট রাইডার্সকে টেনে নিয়ে যান ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও শার্দূল ঠাকুর। শার্দূল ঠাকুরের তুলনায় ভেঙ্কটেশ আয়ারের হাতেই স্ট্রাইক বেশি ছিল। ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নাইট রাইডার্সের এই ব্যাটার। হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করার পরও আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন। ১৩ তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন শার্দূল ঠাকুর। ১১ বলে ১৩ রান করেন তিনি। শার্দূল আউট হওয়ার পর সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ভেঙ্কটেশ। কার্যত একাহাতেই দলকে সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ব্রেন্ডন ম্যাকালামের পর দ্বিতীয় কেকেআর-এর ব্যাটসম্যান হিসেবে এই নজির গড়লেন তিনি।
তবে বেলা যত গড়াতে থাকল, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ততই ছড়াতে থাকল ঈশান কিষাণ, সূর্যকুমার যাদবদের তেজ। রোহিতের অসুস্থতার কারণে তিন ম্যাচের পর মুম্বইয়ের ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্ব পেয়েছিলেন সূর্যকুমার। রবিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের দেওয়া ১৮৬ রানের লক্ষ্যের জবাবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ওপেন করতে নামা রোহিত শর্মা দ্রুত আউট হন। তবে শুরু থেকেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন ঈশান কিষাণ। রোহিতের আউটের পর তাঁর রানের গতি থমকালেও ২৫ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে সূর্যদের কাজটা সহজ করে দিয়ে যান। এরপর তিলক ভার্মাকে নিয়ে এগোচ্ছিলেন সূর্যকুমার। জুটিতে ভাঙন ধরান সূয়াশ শর্মা। জোড়া উইকেট পেলেন সূয়াশ। ২৫ বলে ৪৩ রান সূর্যকুমার যাদবের। তবে এদিন নেতা সূর্যের ব্যাটে দেখা গেল সেই পুরনো ঝলক। টানা ব্যর্থতার পর ঘরের মাঠে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন। তবে সূর্য-ঈশান ঝড়ে এদিন কলকাতা নাইট রাইডার্স হারল ৫ উইকেটে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হার।