এবার বিভাস অধিকারীকে তলব করল সিবিআই। রবিবারই তাঁকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিবিআই-এর তরফ থেকে এই প্রথম তলব। সিবিআই সূত্রে খবর, শনিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালিয়ে যে নথি উদ্ধার হয়েছে সেই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই এ দিনের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। এর আগে ইডি তলব করেছিল বিভাস অধিকারীকে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা স্পষ্ট ভাবেই জানাচ্ছেন, বিভাস অধিকারী অন্যতম মাস্টার মাইন্ড। কারণ ২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাসোসিয়েশনের মাথায় ছিলেন বিভাস। শুধু নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি নয়, বিএড, ডিএলএড, কলেজে অনুমোদন পাইয়েও দিতেন তিনি। সব মিলিয়ে বেশ কয়েক কোটি টাকা নিজের পকেটে পুরেছিলেন বিভাস এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
এদিকে শনিবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার তদন্তে মোট ৬ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তল্লাশি চালানো এই ছ’টি জায়গার মধ্যে চারটি জায়গাই বিভাসের বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। আর সেখান থেকে যে সূত্র মেলে তাতেই বিভাস সম্পর্কে একটা নিশ্চিত ধারনায় পৌঁছান সিবিআই আধিকারিকেরা।
প্রসঙ্গত, এই বিভাস অধিকারী নিজেকে সৎসঙ্গের সঙ্গে যুক্ত একজন ঋত্ত্বিক বলে পরিচয় দিতেন। বীরভূমে একটি আশ্রমও বানিয়ে ফেলেছে বিভাস। এদিকে ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎসঙ্গ আশ্রম থেকে জানানো হয়, বিভাসের তৈরি ওই আশ্রমের সঙ্গে অনুকূলচন্দ্রের সৎসঙ্গের কোনও যোগ নেই। বিভাসের আশ্রমটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত একটি ট্রাস্ট।