২০২২-এর অক্টোবরে লক্ষ্মীপুজোর রাতে যে অশান্তি ছড়িয়েছিল মোমিনপুর-একবালপুর এলাকায় সেই ঘটনায় জড়িত সাতজনের খোঁজ মিলছিল না। তবে এই অভিযুক্ত সাত জনের খোঁজ মেলেনি দীর্ঘদিন ধরে। সেই কারণে এবার এই পলাতক সাত অভিযুক্তের খোঁজে এবার হুলিয়া জারি করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। শুধু তাই নয়, তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, পলাতক প্রতি ব্যক্তির খোঁজ দিলে পুরস্কার বাবদ দেওয়া হবে মাথা পিছু ১ লাখ টাকাও। অশান্তির ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে চলে ধরপাকড়। পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজে ভিনরাজ্যেও চালানো হয় তল্লাশি। কারণ, এই অভিযুক্তদের কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এদের খোঁজ পেতে এবার একেবারে জারি হল হুলিয়া। এদিকে এই অশান্তির ঘটনায় জড়িত ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মী পুজোর দিন মোমিনপুরে যে কাণ্ড ঘটে তার তদন্তভার এনআইএ-এর হাতে তুলে দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুধু তাই নয়, মোমিনপুরের সেদিনের ওই ঘটনায় পাঁচটি এফআইআর দায়ের করা হয়। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে গঠন করা হয় সিটও। উল্লেখ্য, গত বছর ৮ অক্টোবর, লক্ষ্মীপুজোর রাতে ও তার পরদিন সকালে মোমিনপুরে অশান্তির ঘটনা ঘটে। বোমা বিস্ফোরণে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একাধিক দোকানে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি মোটরবাইক। গোটা ঘটনায় এলাকায় জারি হয় ১৪৪ ধারা। এদিকে সেদিনের ঘটনায় দফায় দফায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে একবালপুর মোমিনপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। হিংসার ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে কয়েকজন হাসাপাতালেও ভর্তি হন। এদিকে আবার এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যেতে গেলে বাধা পান। দলের সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে আটক করে পুলিশ। সেই ঘটনায় নতুন করে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এরপর বিশাল পুলিশ বাহিনী নামাতে হয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে।