নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার নাম জড়াল এক প্রাথমিক শিক্ষকেরও। দীপক জানা নামে এই প্রথামিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি প্রতিশ্রুতি দিতেন বলেই বলেই অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই তিনি বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগও সামনে আসছে। এবার এই প্রথমিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সিবিআইকে প্রাথমিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সিবিআইকে নির্দেশ দেন আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দেওয়ার। এদিনের এই মামলা প্রসঙ্গে বিাচরপতি মান্থা এও জানান, যেহেতু নিয়োগ দুর্নীতির অন্য মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই, তাই এই মামলাও সিবিআইকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল আদালত। সঙ্গে বিচারপতি মান্থা এও বলেন, ‘তদন্ত যে স্বচ্ছতার সঙ্গে হচ্ছে সেটা জনগণের কাছে পরিষ্কার হওয়া দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতিতে রোজ নতুন নতুন তথ্য সিবিআই-এর কাছে আসছে। আর্থিক লেনদেনের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সব অভিযোগের তদন্তভার সিবিআই-কে দিতে হবে।’
এদিকে সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের বিচুনিয়া জগন্নাথ বিদ্যামন্দিরের ইংরেজির শিক্ষক দীপক জানা। অভিযোগ, ২০১৮ সাল থেকে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, প্রাথমিক শিক্ষক সহ একাধিক দপ্তরে বা সরকারি পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় ৫ কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন দীপক জানা। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, চাকরিপ্রার্থীরা টাকা দিয়েও কোনও চাকরি পাননি।আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই হয় এই মামলা। দীপক জানার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে চাকরি না পাওয়ার অভিযোগে দায়ের হয় এফআইআরও। এদিকে আদালত সূত্রে খবর, আগামী ১ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।