সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা কামারহাটিতে, আক্রান্ত প্রাক্তন বাম বিধায়ক-সহ সংবাদমাধ্যম

ব্যারাকপুর :কর্মচারীদের সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে শনিবার সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনা ছিল কামারহাটি পুরসভা চত্বরে। এদিন সকাল দশটা থেকে ভোট শুরুর আগেই পুরসভার ভেতরে গন্ডগোল বেধে যায়। অভিযোগ, সিপিএম প্রার্থীদের পুরসভার ভেতরে আটকে রেখে মারধর করে শাসকদলের লোকজন। অভিযোগ, সেই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি হতে দেখেই তেড়ে আসে তৃণমূলের লোকজন। সাংবাদিকদের মোবাইল ফোন কেড়ে গন্ডগোলের ছবি মুছে দেওয়া হয়।
দলীয় প্রার্থীদের আক্রান্ত হবার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসেন কামারহাটির প্রাক্তন বাম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়। তাঁকে পুরসভায় ঢুকতে বাধা দেন পুরসভার এক নিরাপত্তারক্ষী। তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মানসের কটাক্ষ, ‘তৃণমূল সারা বাংলা লুঠ করেছে। পুরসভার সমবায় সমিতিতে কর্মচারীদের গচ্ছিত ৫ কোটি টাকা এবার ওরা লুঠ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এখানে নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে।’ জানান, নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে তারা সরে দাঁড়ালেন। তাঁর দাবি, ঘটনায় তাদের ১৭-১৮ জন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।
পুরসভার পাম্প অপারেটর সুজন মজুমদার বলেন, ‘পাম্পের জন্য পুরসভায় চাবি নিতে এসেছিলাম। কিন্তু তৃণমূল আশ্রিত বাহিনী আমার পকেট থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে।’ এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা খড়দার বিধায়ক শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্বাচন হবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ। মানুষের জন্য কাজ করে জিতব। জোর করে গলা টিপে জেতার কোনও আনন্দ নেই। চুরি করে জেতা তো মূল্যহীন।’
এদিকে সাংবাদিকদের হেনস্থার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ব্যারাকপুর প্রেস ক্লাব। সাংবাদিকদের এই সংগঠনের সভাপতি মাসুম আকতার ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেওয়া এবং তাদের মারধর করা কোনওমতেই মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমে আন্দোলনে সামিল হবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − eight =