শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ আগুন লাগল সিটি সেন্টার ২- এর পিছনে। স্থানীয় বাসিন্দাদের হঠাৎ-ই নজরে আসে দাউ দাউ করে জ্বলছে একের পর এক অস্থায়ী ঝুপড়ি দোকান। দাহ্য পদার্থ তৈরি এবং ভিতরে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় মুহূর্তের মধ্যে ভস্মীভূত হয়ে যায় একাধিক দোকান। এই আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইকোপার্ক থানার পুলিশ। এদিকে খবর যায় দমকলেও। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ও নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপ অথরিটি বা এনকেডিএর-তরফ থেকে একটি জলের ট্যাঙ্কার যায় ঘটনাস্থলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ যে আগুন লাগে সিটি সেন্টার-২ এর ঠিক পিছনে তাতে ভস্মীভূত হয়ে যায় ৮টি দোকান। তবে আগুন লাগার ঘটনা নজরে আসতে আগুন নেভাতে প্রথমে হাত লাগান এলাকার লোকজন। সবরকম চেষ্টা চলে তাঁদের তরফ থেকে। তাঁরাই তড়িঘড়ি পাশের আবাসন থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে দোকানগুলিতে জল দিতে শুরু করেন। তবে তারই মাঝে আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই ৮ টি ঝপুড়ি দোকান।
তবে দমকল আধিকারিক এবং ইকোপার্ক থানার পুলিশ আধিকারিকদের ধারনা, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগে। এদিকে বিধাননগর পুরনিগমের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে নিউটাউন সিটি সেন্টারের পিছনে সার বেধে রয়েছে বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি দোকান। ফলে একটার থেকে অন্যটায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে বিশেষ সময় লাগেনি। তবে আগুন লাগার সঠিক কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে ইকো পার্ক থানার পুলিশ। এদিকে এদিনের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়কে। ক্ষতিগ্রস্তদের ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এও জানান, ‘বিধায়ক তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে, স্থানীয় কাউন্সিলরও ৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছেন। সঙ্গে আর যা যা প্রয়োজন, আমার কাছে যত পরিমাণ আছে, পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। ত্রিপল দিচ্ছি, কম্বল পাঠাচ্ছি।’