হিজাব না পরলে কঠোর শাস্তি, হুঁশিয়ারি ইরানের বিচার বিভাগের প্রধানের

তেহেরান, ২ এপ্রিল: হিজাবের বাধ্যবাধ্যকতা থেকে মুক্তি চাইছেন ইরানের মহিলাদের একটা বড় অংশ। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই হিজাব বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে ইরান। তবে সেই বিক্ষোভ দমিয়ে হিজাব পরার পক্ষেই মত রাখল সে দেশের বিচারবিভাগ।
কোনও ধর্মীয় শাসনকর্তা নয়, মেয়েদের নিয়ম মেনে হিজাব পরতেই হবে কড়া নির্দেশ দিলেন ইরানের বিচারবিভাগের প্রধান গুলামহোসেন মহসেনি। তিনি জানিয়েছেন, হিজাব না পরলে কোনওভাবেই তাঁদের রেয়াত করা হবে না। এই তথ্য জানা গিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তরফে।
গুলামহোসেন মহসেনির বার্তা, ‘নির্দিষ্ট পোশাক পরে সকলের চলা উচিত। এটা আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে জড়িত।’ একইসঙ্গে তাঁর কড়া বার্তা, হিজাব না পরলে কঠোর সাজা পেতে হবে।
কিছু দিন আগেই ইরানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী দাবি করেছিলেন, হিজাব ইরানের মৌলিক মূল্যবোধের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ইরানের মতো ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের ক্ষেত্রে এই পোশাকবিধি যে অঙ্গাঙ্গী ভাবে যুক্ত, তা-ও স্পষ্ট করে দেন তিনি।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই হিজাব বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে ইরান। ২২ বছরের তরুণী মাহশা আমিনি ঠিক ভাবে হিজাব পরেননি এই অভিযোগে তাঁকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় ইরানের নীতি-পুলিশ। পুলিশ হেফাজতেই ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু হয় তাঁর। মাহশার পরিবারের দাবি, পুলিশের হাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মাহশার মৃত্যুর পরই ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে ইরানে। মাথার চুল কেটে, হিজাব খুলে ইরানের খামেইনি প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান সে দেশের মেয়েরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 5 =