অর্ণব বসুকে তলব করা হবে ইডি-র তরফ থেকে এটা বেশ কয়েকদিন ধরেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র দপ্তরে তলব করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ক্লার্ক অর্ণব বসুকে। ইডি- সূত্রে খবর, শুক্রবার-ই সকাল ১১টার পর তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে যেতে বলা হয়। অর্ণবকে তলব করার কারণ, প্রাথমিক তদন্তে ইডি-র তরফ থেকেই জানানো হয় যে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ক্লার্ক অর্ণব বসু প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ। তাঁর দেওয়া নির্দেশিকাই পালন করতেন অর্ণব। তিনিই বিভিন্ন জায়গায় মেল করতেন, রেকমেন্ডেশন লেটার পাঠাতেন। আর সেই কারণেই তাঁইডি-র আধিকারিকেরা এই অর্ণবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চান, তিনি এই নিয়োগের ক্ষেত্রে ঠিক কী কী ভূমিকা পালন করতেন। পাশাাপাশি এও জানতে চাইছেন, কাদের মেল করা হয়েছিল এবং এই সামগ্রিক ঘটনায় কোনওভাবে আর্থিক লেনদেন তাঁর মাধ্যমে হয়েছে কি না সে ব্যাপারেও। এদিকে, ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে তল্লাশি চালানো হয়েছে ইডি-র তরফ থেকে। বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে একাধিক নথি, অর্ণব বসুর ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন। তাঁর সল্টলেকে যে ফ্ল্যাট সেখানেও তল্লাশি চালানো হয়।
এদিকে, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বর্তমান সভাপতি গৌতম পালকে পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি কিছুটা ভর্ৎসনার সুরেও বলেন, ‘মানিক ভট্টাচার্যর ফেলে যাওয়া জুতোয় পা গলাবেন না।’ আদালত সূত্রে খবর, ২০১৪ র প্রাথমিক টেটের শংসাপত্র সংক্রান্ত একটি মামলায় শুক্রবার আদালতে হাজির ছিলেন গৌতম পাল। এরপরই গৌতমবাবু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে আশ্বাস দেন, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ২০১৪ সালের পরীক্ষার্থীরা টেট শংসাপত্র পেয়ে যাবেন।