সিবিআইয়ের দক্ষতায় সাড়ে তিন বছর পর ঘরে ফিরল কলকাতার তৃষিত

বড় সাফল্য সিবিআইয়ের। সিবিআই-এর দক্ষতায় সাড়ে তিন বছর পর খোঁজ মিলল কলকাতার যুবক তৃষিত বিশ্বাসের। বিশ্বাস পরিবার সূত্রে খবর, সাড়ে তিন বছর ধরে খোঁজ মিলছেল না তৃষিতের। পুলিশ থেকে সিআইডি- দরজায় দরজায় ঘুরে ছেলের কোনও খোঁজ পাননি তৃষিতের বাবা-মা। এরপর উপায়ন্তর না পেয়ে কার্যত হতাশ হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। তদন্ত শুরুর ২ মাসের মধ্যেই নিখোঁজ তৃষিতের খোঁজ পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তৃষিত বিশ্বাস। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। দু-এক বার বাড়িতে ফোন এলেও ছেলের কোনও সন্ধান দেওয়া হয়নি।
তৃষিতের পরিবার সূত্রে খবর, ২০১৯ সাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই ছাত্র। সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার তাঁর খোঁজ পায়। এরপরই শুক্রবার সকালে মুম্বই থেকে তাঁকে উদ্ধার করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। তবে তৃষিতের ব্যাপারে এই মুহূর্তে মুখে কুলুপ সিবিআই আধিকারিকদের। ওই যুবক এতদিন কোথায় ছিলেন, কী হয়েছিল তাঁর সঙ্গে এই সমস্ত যাবতীয় তথ্য সবকিছু আদালতে জানাবে সিবিআই এমনটাই খবর।
এদিকে সূত্রে খবর, কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় গত বছরের নভেম্বর মাসে। পুলিশ খোঁজ দিতে না পারায় আগেও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই যুবকের বাবা। হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলাও করেন তৃষিতের বাবা। সেই সময় তদন্ত করছিল সিআইডি। তবে সিআইডি তদন্তেও কোনও কিনারা হয়নি। সেই কারণেই গত বছর ফের নতুন করে মামলা করা হয়। শুনানি শেষে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপরই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। বিশেষ টিম গঠন করে তদন্ত করছিল স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
এদিকে সূত্রে এও খবর, সিআইডি তদন্ত চলাকালীন একটি ফোন আসে ওই ছাত্রের বাড়িতে। ছেলের খোঁজ দেওয়া হবে বলে ওই ফোন এসেছিল। পরে আসে একটি চিঠিও। আদালতের নির্দেশে ইন্টারপোলের সাহায্যে বাংলাদেশের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়। তবে বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, এই ফোন নম্বরের কোনও অস্তিত্ব মেলেনি। এরপরেই নতুন মামলা দায়ের হয়। এই মামলা প্রসঙ্গে বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ ছিল, আর পাঁচটা নিখোঁজ মামলার মতো নয় এই মামলা। দুই দেশের মধ্যে তদন্তের সমন্বয়ের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 + 12 =