পঞ্চায়েত নির্বাচন ইস্যুতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আদালতের কাছে তাঁর আর্জি ছিল, যাতে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ভোট ঘোষণা করা না হয়। এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণও করেন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে কোনও রায় দেওয়া না হলেও শুক্রবার হাইকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে শুভেন্দুর আর্জি শোনা সম্ভব নয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের মত, আপাতত পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই মুহূর্তে দ্রুত শুনানির প্রয়োজন কোথায় তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। তবে প্রয়োজনে সোমবার বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে ফের আসার নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিয়েছেন প্রকাশ শ্রীবাস্তব। তাঁর অবসরের দিনই শুভেন্দু অধিকারী নতুন করে একটি আর্জি করেন হাইকোর্টে। শুভেন্দুর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত শীর্ষ আদালত বন্ধ থাকবে। তাই এর মধ্যে যাতে পঞ্চায়েতের ভোট ঘোষণা করা না হয়, সেই আর্জি নিয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রকাশ শ্রীবাস্তব প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেওয়ার আগে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এমন অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী আবার আর্জি জানান ওই বিষয়টি নিয়ে। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সেই আবেদনে সাড়া দেননি।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আসন সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী হাইকোর্টে যে জনস্বার্থ মামলাটি করেছিলেন, সেটির রায় আগেই দিয়েছে আদালত। তাতে হাইকোর্ট জানায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপাতত কোনও বাধা নয়। তবে মামলকারী নতুন করে আবেদন করতে পারেন বলেও জানিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।