কারারক্ষীদের যাতে কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত করা হয় তা বিশেষ ভাবে দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, বাংলার রাজনৈতিক পালাবদলের পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১১ সালে বঙ্গীয় কারারক্ষী সমিতি গঠন করেছিলেন পার্থ। পরে অবশ্য তা ভেঙে গিয়েছিল। এবার ফের দীর্ঘদিন পর বৃহস্পতিবার আদালত থেকে বের হওয়ার সময় সেই কারারক্ষীদের জন্য সরব হতে দেখা গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
পাশাপাশি এদিন পার্থ এও ফের বুঝিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর তাঁর আস্থা রয়েছে। দলের সুপ্রিমোর ধরনা প্রসঙ্গে এদিন পার্থ জানান, ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের লড়াই চিরকালই ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু ধরনা নয়, বাংলার হয়ে দীর্ঘদিন লড়াই করা একজন সংগ্রামী নেত্রী। তিনি বাংলার ভাগ্য দেখবেন, বাংলার উন্নয়ন দেখবেন এবং বাংলার প্রাপ্য অর্থ তিনি আদায় করবেন।’
একইসঙ্গে এদিন তিনি শুভেন্দুকেও বিদ্ধ করতে ছাড়েননি। কারণ, সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পার্থর মুখে শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তীর নাম শোনা গিয়েছিল। পালটা শুভেন্দু বলে তাঁকে তাঁদের নাম বলার কথা শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় বিরোধী দলনেতাকে তীব্র কটাক্ষ করেন পার্থ বলেন, ‘আমি অসত্য ভাষণের কোনও উত্তর দিই না। এই ধরনের কথা অসত্য, বাস্তবহীন এবং কোনও তথ্য নেই। আমি যা জীবনে করিনি, উনি বিরোধী দলনেতা, উনি ভালোমতো জানেন। আমার বিদ্যা, বুদ্ধি এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞা থেকেই কথা বলি। আমাকে কেউ শিখিয়ে দেয় না। এই ধরনের কথা আমি ওনার থেকে প্রত্যাশা করি না।’ একইসঙ্গে পার্থ এও বলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে অনেকে কথা বলছে। শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ ও সুজন চক্রবর্তীও আমাকে তদ্বির করেছিলেন। আমি তাঁদের জানিয়েছি, কোনও সাহায্য করতে পারব না, কারণ আমি নিয়োগকর্তা নই। শুভেন্দু অধিকারীর ২০১১-২০১২ সাল মনে নেই। তাঁরা নিজেদেরকে প্রশ্ন করুন।’
এদিকে প্রায় আট মাস জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। সেই বিষয়ে এদিন পার্থকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানালেন, ‘আমি বিনা বিচারে আট মাস ধরে পড়ে রয়েছি। কিন্তু তাতে আমার দুঃখ নেই। সত্য একদিন উদ্ঘাটিত হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উপর আমার ১০০ শতাংশ বিশ্বাস রয়েছে।’