গুজরাতে নরেন্দ্র মোদিকে ফাঁসানোর জন্য চাপ সৃষ্ট করা হয়েছিল, বিস্ফোরক দাবি শাহের

গুজরাতে ভুয়ো এনকাউন্টারের মামলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘ফাঁসানোর জন্য’ আমার ওপর ‘চাপ’ সৃষ্টি করেছিল সিবিআই। ওই সময় ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস তথা ইউপিএ সরকার। এদিকে মোদি তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মোদি সরকারের চাণক্য হিসেবে পরিচিত অমিত শাহের। একইসঙ্গে এদিন ১৭ জন দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার উদাহরণও তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই ১৭ জনের তালিকায় রয়েছেন, লালু প্রসাদ, জে. জয়ললিতা এবং রাশিদ আলভির কথা। যাঁরা ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশে সদস্যপদ হারিয়েছিলেন। অথচ সেই সময় কালো পোশাক পরে তো কেউ প্রতিবাদ করেননি। পাশাপাশি এও জানান, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের এহেন আচরণকে যে রাজনৈতিক স্বার্থে বিজেপি ব্যবহার করেনি। একইসঙ্গে শাহ এ প্রশ্নও তোলেন, ‘সরকার কি তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা বন্ধ করে দেবে? অভিযুক্ত যদি রাজনৈতিক ব্যক্তি হন, তাহলে কি তদন্ত করা উচিত নয়?’
এর পাশাপাশি শাহ তোপ দাগেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধেও। কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাহুলকে। সুরাতের এক আদালত ওই কংগ্রেস নেতাকে একটি ফৌজদারি মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে। সেই প্রসঙ্গে শাহের বক্তব্য, ওই কংগ্রেস নেতাই প্রথম কিংবা একমাত্র রাজনীতিবিদ নন, যিনি আদালতের দ্বারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং বিধানসভার সদস্য হওয়ার অধিকার হারিয়েছেন। অথচ উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরিবর্তে রাহুল এই মুহূর্তে শোরগোল ফেলে দিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করছেন। আর নিজের ভাগ্যের জন্য মোদির উপরেই দায় চাপাচ্ছেন। আর তা নিয়ে কংগ্রেস ভুল ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এই সব প্রসঙ্গ তুলে আনার মূল কারণ হল, বিরোধীদের অভিযোগ ছিল যে, বিরোধী দলগুলিকে নিশানা করার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ‘অপব্যবহার’ করছে মোদি সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে একই রকমের অভিযোগ করতে শোনা গিয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। পাশাপাশি অভিষেক এও জানান, সারদাকাণ্ডে যখন মদন মিত্র ও কুণাল ঘোষ জেলে ছিলেন, তখন তাঁদের উপর ‘চাপ’ তৈরি করা হয়েছিল। দু’জনকেই তাঁর নাম নিতে বলা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন অভিষেক। এই প্রসঙ্গেই কংগ্রেসকে নিশানা করেন শাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × four =