‘বিজেপি দোষ করলে আইন আলাদা। মোদি পদবী চোর বলায় যদি মোদি সম্প্রদায়ের মনে আঘাত লাগে এবং সেই কারণে যদি রাহুল গান্ধির দু’বছরের জেলের সাজা হয় এবং তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয় তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রে একই সাজা হবে না কেন?’ রাহুলের সাংসদ খারিজ নিয়ে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে এইভাবেই কাঠগড়ায় দাঁড় করান তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন- কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একই দোষে কাঠগড়ায় দাঁড় করান অভিষেক। রাহুলকে নিয়ে সুরাট আদালতের রায়কে হাতিয়ার করে বিজেপি কথা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঝাঁঝ এদিন যেন আরও এক মাত্রা বাড়ালেন অভিষেক। আইনি পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দিতেও দেখা যায় তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এদিনের মঞ্চ থেকে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে উদ্দেশ্য করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা কুরুচিকর মন্তব্যের প্রসঙ্গও এদিন টেনে তোলেন তিনি। কারণ, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী যে বীরবাহা হাঁসদা সহ হাঁসদা সম্প্রদায়ের ভাইবোনকে উদ্দেশ্য করে ‘ওরা আমার জুতার নীচে থাকেন’ বলেছিলেন। আর এই প্রসঙ্গেই অভিষেকের প্রশ্ন, ‘তাহলে কেন শুভেন্দু অধিকারীর ২ বছরের জেব হবে না?’ এরই পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেও অভিষেক বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলায় প্রচারে এসে ‘দিদি ও দিদি’ বলে ব্যঙ্গাত্নক রব তুলে মহিলাদের অপমান করেছিলেন তাহলে সেক্ষেত্রে মোদির ২ বছরের জেল হবে না, এ প্রস্নও এদিনের সʼভামঞ্চ থেকে ছুঁড়ে দিতে দেখা যায় অভিষেককে। পাশাপাশি এ দাবিও তোলেন, কোনও মহিলার ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যঙ্গাত্মক উক্তি করায় কেন প্রধানমন্ত্রীর পদ খারিজ হবে না তা নিয়েও। আর এখানেই অভিষেকে প্রশ্ন, ‘আইন কেন সবার জন্য এক নয়?’
প্রসঙ্গত, রাহুলের সাংসদ খারিজ নিয়ে এর আগে নাম না করে সরব হয়েছিল তৃণমূল। এদিনও সেই প্রসঙ্গ তুলেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তদুপরি প্রধানমন্ত্রীকেও একই দোষে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে রাহুল গান্ধির মন্তব্যকে তিনি যে সরাসরি সমর্থন করেননি তা এদিন স্পষ্ট হয় তাঁর বক্তব্যে। তিনি বলেন,‘ নীরব মোদি, ললিত মোদি, নরেন্দ্র মোদিকে একাসনে বসিয়েছিলেন। তাঁর এই মন্তব্যকে আমি সমর্থন করি না। আমি কারও ভাবাবেগে আঘাতও করতে চাই না।’