বেলা ১২টা নাগাদ আম্বেদকর মূর্তির সামনে বুধবার থেকে শুরু হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না অবস্থান। এদিন বেলা ১২টার একটু আগেই ধর্না মঞ্চে পৌঁছেও যান। আম্বেদকর মূর্তির নীচে মূল মঞ্চের দু’পাশে তৈরি করা হয়েছে দুটি অস্থায়ী ছাউনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তাঁর এই ধরনা অবস্থান। পাশাপাশি এজেন্সির অপব্যবহার, গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর এই প্রতিবাদ। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এও জানিয়েছেন, তৃণমূল সরকারের সাফল্যে প্রতিহিংসাপরায়ণ বিজেপি সরকার। বাংলাকে তার ন্যয্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কেন্দ্রের কাছে রাজ্য সরকার ১ লাখ কোটি টাকা পায়। ১০০ দিনের কাজে বকেয়া রয়েছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে এই প্রকল্পের টাকা সরকার বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে কাজ করেও ন্যয্য মজুরি থেকে বঞ্চিত প্রায় ১৭ লাখ পরিবার। পাশাপাশি, আবাস যোজনায় কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ১১ লাখ ৩৬ হাজার পরিবার বঞ্চিত হচ্ছে পাকা বাড়ি থেকে। সঙ্গে এ অভিযোগও তিনি তুলছেন যে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি মারফত বিরোধীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে আদানির স্বার্থে এলআইসি-র বেসরকারিকরণ, রাষ্ট্রায়ত্ত্বব্যাঙ্কে গচ্ছিত জনগণের অর্থ নয়ছয় করার মতো বিষয়গুলির বিরুদ্ধে তদন্তেরও দাবি তোলেন মমতা।
বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই ধর্না চলবে ২ দিন ধরে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই আম্বেদকর মূর্তির সামনে এই ধরনা মঞ্চে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, জোৎস্না মান্ডি, সাবিনা ইয়াসমিন, শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মনোজ তিওয়ারি, বীরবাহা হাঁসদা, মাস ভুঁইয়া, সুজিত বসু, ইন্দ্রনীল সেন, বাবুল সুপ্রিয়ো, সাংসদ দোলা সেনকে। ধরনা মঞ্চ থেকে বাজানো হতে থাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা ও সুরে তৈরি গান। মুখ্যমন্ত্রীর বসার জন্য যে উঁচু জায়গা তৈরি করা হয়েছে, সেখানেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সংবিধান রাখেন। সেটিকে ফুল দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে দেখা যায় তাঁকে। এটিই তাঁর প্রতীকী প্রতিবাদ বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।