শিক্ষিকার বদলি নিয়ে ফের হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য় সরকার

ফের হাইকোর্ট ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য সরকার। ইস্যু, এক শিক্ষিকার বদলি নিয়ে। প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনায় হাত-পা কাটা যাওয়া কেশব অ্যাকাডেমির এক শিক্ষিকার। এরপর চাকরি বাঁচাতে ওই শিক্ষিকাকে ব্যারাকপুর থেকে ছুটতে হয় কসবার স্কুলে। হাজারো চেষ্টা করেও কাছাকাছি কোথাও বদলি পাননি। তাঁর আবেদন নিবেদনে কোনও কাজ না হওয়ায় তাই এবার শরনাপন্ন হলেন হাইকোর্টের। সোজা বদলির আর্জি জানান তিনি। কসবার ওই স্কুলের শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত ওই মামলাটি উঠেছিল হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। এদিন মামলার শুনানিতে শিক্ষক বদলির প্রসঙ্গে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সরকারি আইনজীবী সুপ্রিম চট্টোপাধ্যায়কে বিচারপতি বলেন, ‘ইংরেজি মিডিয়াম মানেই ভাল, এই ধারণা কেন? আপনি কি আশ্বাস দিতে পারেন বেসরকারি স্কুল সব গাইডলাইন পালন করে?’ এরই রেশ ধরে বিচারপতি এও জানান, ‘বাংলা মিডিয়ামে তো বিএড শিক্ষক আছেন। যারা অন্তত ভাল শিক্ষা দিতে পারেন।’ সঙ্গে এ প্রশ্নও করেন, ‘ইংরেজি মাধ্যমে সবাই এই পদ্ধতি মেনে নিয়োগ করে?’
এরই রেশ ধরে বিচারপতি এদিন এও জানতে চান ওই স্কুল পড়ুয়া কতজন রয়েছে আ শিক্ষকই বা রয়েছেন কতজন? তাতে সরকারের তফের আইনজীবী জানান, ছাত্র সংখ্যআও ১২ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যাও ১২ জন। এরপই বিচারপতি জানতে চান, যদি এত কম পড়ুয়া হয়, তাহলে দুটি স্কুলকে মার্জ কেন করে দেওয়া হচ্ছে না? জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, যতক্ষণ না স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা ‘শূন্য’ হয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ দুটি স্কুলকে মার্জ করার নিয়ম নেই। এতেই বেশ বিরক্ত হন বিচারপতি। বললেন, ‘শিক্ষকদের সুবিধার জন্য যাবতীয় আইন থাকলে, শিক্ষকদের বাড়িতে রেখে বেতন দিন। ডিআই-এর যদি ইনপুট না থাকে কত স্কুল আছে, তাঁকে রিজাইন করতে বলুন। আগে বোর্ডের গ্ল্যামার ফিরিয়ে আনুন।’
এরই পাশাপাশি বিশ্বজিৎ বসু এও জানান, ‘এত খারাপ অবস্থা কেন? চাকরি উৎপাদনের ভাল কোম্পানি শিক্ষা দফতর। সব বন্ধ হলেও টিচার সাপ্লাই বন্ধ হবে না। দক্ষিণে তো এমন অবস্থা নয়।’ কীভাবে এই পরিস্থিতির বদল হবে, তা আদালতে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আগামী ৪ এপ্রিল এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওইদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে শুনানির সময় উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন বিচারপতি বসু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 2 =