সোমবার সকালে সংসদ অধিবেশনের আগে কংগ্রেসের ডাকা বিরোধী দলগুলির বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর, সন্ধ্যায় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে বিরোধী নেতাদের নৈশভোজেও যোগ দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খাড়গের বাসভবনে বৈঠকে বসবেন বিরোধী দলগুলোর নেতারা।
বিরোধী বৈঠকে তৃণমূলের পাশাপাশি, যোগ দিয়েছিল ডিএমকে, এসপি, জেডি(ইউ), সিপিএম, আরজেডি, এনসিপি, সিপিআই-সহ ১৭টি বিরোধী দল। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অতীতে একাধিকবার সরব হলেও আদানি সংক্রান্ত বিক্ষোভে কংগ্রেসের সঙ্গেই কক্ষ সমন্বয় করতে দেখা যায় আপকে। তবে কংগ্রেসের যাবতীয় কর্মসূচি থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিল তৃণমূল।
রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে কংগ্রেস সাংসদেরা কালো পোশাক পরে যে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন, তাতে যোগ দিল স্থানীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের ‘বিরোধী’ তেলঙ্গানার ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-ও। তৃণমূল এবং বিআরএসের উপস্থিতিতে বিরোধী ঐক্যের বৃত্তটি সম্পূর্ণ হল বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বিরোধী বৈঠকে তৃণমূলের উপস্থিতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘দেশে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে যাঁরাই এগিয়ে আসবেন, কংগ্রেস তাঁদের স্বাগত জানাবে।’
সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কংগ্রেস, বাম এবং বিজেপির বিরুদ্ধে অশুভ আঁতাত করার অভিযোগ তুলেছিলেন। রাহুলের সদস্যপদ খারিজের পর অবশ্য টুইট করে নাম না করে কংগ্রেস নেতার পাশে দাঁড়ান মমতা। সোমবার কংগ্রেসের ডাকা বিরোধী বৈঠকে তৃণমূলের তরফে যোগ দেন রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার এবং হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।