সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এরপরই লোকসভা নির্বাচন। এদিকে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিরও পরিবর্তন হয়েছে। বিধানসভায় তৃণমূলের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ব্যাপক চাপে রাজ্যের শাসকদল। তবে এর মধ্যেও তদন্ত নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে আবার রাজ্যে আড়াআড়ি বিভক্ত গেরুয়া শিবিরের সংগঠন। সুকান্ত মজুমদার বনাম শুভেন্দু অধিকারী গোষ্ঠী। প্রথম গোষ্ঠীর অভিযোগ ছিল দ্বিতীয়দের ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে। রাজ্যে চলতে থাকা কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অনিয়মের নতুন নতুন অভিযোগ করে প্রতিদিনই প্রধানমন্ত্রী-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের চিঠি দেওয়া অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন শুভেন্দু। দলকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের চিঠি বা ঘনিষ্ঠ নেতাকে রাজধানীতে পাঠিয়ে সংগঠনের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাটা সহজভাবে নিতে পারেনি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষরা। পাল্টা কৌশল গ্রহণ করে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। অবেশেষে সেই ডাকে সাড়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ বাংলার দলীয় সাংসদদের সঙ্গে দেখা করবেন মোদি। রাজ্যের কথা সাংসদদের মুখ থেকে শুনতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলার সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। এ বিষয়ে সুকান্ত মজুমদারকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে সমস্ত সাংসদ মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার জানান, প্রধানমন্ত্রী তাঁদের অভিভাবকের মতো। তাঁর পরামর্শ সংগঠনের কাছে নির্দেশ। এবারও তিনি যা নির্দেশ দেবেন, তা পালন করবেন।
এই প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারনা, এই ধরনের বৈঠক প্রধানমন্ত্রী মোদি আগেও করেছেন। বিভিন্ন রাজ্যের দলের সাংসদদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করে থাকেন। এবার প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের কর্তব্য নিয়ে কথা বলতে পারেন। নিজের এলাকায় সংগঠন বিস্তারে কীভাবে কাজ করতে হবে, কেন্দ্রীয় সরকারের কোন কোন প্রকল্প নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যেতে হবে, কীভাবে নেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে, সেব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন বলেই মনে করছেন একাধিক সাংসদ। এছাড়াও বাংলার কোন এলাকার চাহিদা কী, সেসম্পর্কেও খোঁজখবর নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।