নাইসার ডিরেক্টর নীলাদ্রি দাসকে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেপ্তারের পর সিবিআইয়ের দাবি, এসএসসি গ্রুপ সি-র নিয়োগ পরীক্ষায় ৩ হাজার ৪৮১টি ওএমআর বিকৃত করা হয়েছে। এসএসসি গ্রুপ ডি-তে ২ হাজার ৮২৩টি ওএমআর বিকৃত হওয়ার দাবি সিবিআইয়ের। এর পাশাপাশি নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগেও ওমএমআর শিটের দুর্নীতি নজরে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। তাঁরা জানিয়েছে, নবম ও দশমের ৯৫২টি, একাদশ ও দ্বাদশের ৯০৭টি ওমএরআর শিটে গরমিল রয়েছে।এদিকে নাইসার ডিরেক্টর নীলাদ্রি দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওএমআর শিট কারচুপির আরও তথ্য মিলবে এমন আশাও রাখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। পাশাপাশি নাইসার ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রির দাস কার নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত ওএমআর কারচুপি করতেন তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। এই কারচুপি করে আর্থিক কী ভাবে ওই সংস্থা লাভবান হয়েছিল তাও নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি নীলাদ্রি আর্থিক ভাবে কতটা লাভবান হয়েছিলেন তাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, নিয়োগ দুর্নীতির একটা অংশ ওএমআর শিটে কারচুপি। নিয়োগ দুর্নীতিতে নেমে ওএমআর বিকৃতির তদন্তে বেশ কয়েকমাস আগে দিল্লি ও গাজিয়াবাদে নাইসার অফিসে তল্লাশি অভিযানও চালায় সিবিআই। গাজিয়াবাদ ও দিল্লির অক্ষরধামে সেই সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ওএমআর বিকৃতির ব্যাপারে একাধিক তথ্য আসে সিবিআইয়ের হাতে। নাইসার সার্ভার থেকে তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করে কারচুপির বহু তথ্য হাতে পান তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত ওএমআর কারচুপির যে তথ্য হাতে এসেছে তাতেই এমনটা ধারনা করছেন তদন্তকারীরা। যা ইতিমধ্যে হাইকোর্টে জমাও দেওযা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফ থেকে এমনটাই খবর সিবিআই সূত্রে। তদন্তকারীদের দাবি, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, নাইসা অফিস থেকে বেশ কিছু পরিমাণ ওমএমআর শিট হাতে পেয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকেরা।