গরু পাচার কাণ্ডে এবার দিল্লির ইডির দপ্তরে বীরভূমের সিউড়ি থানার আইসি শেখ আলি। সূত্রে খবর, শনিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ দিল্লিতে ইডি দপ্তরে হাজিরা দেন সিউড়ি থানার এই আইসি। এদিন তাঁর পরনে ছিল সাদা গেঞ্জি ও নীল রঙের জামা ও মাস্ক। হাতে কিছু প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে ইডি দপ্তরে প্রবেশ করতে দেখা যায় তাঁকে।
প্রসঙ্গত, কয়লা কেলেঙ্কারিতে আগেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিয়েছিলেন বীরভূমের সিউড়ি থানার এই আইসি। এবার গরুপাচার কাণ্ডে ইডি-র নজরে তিনি। কারণ, ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল ও বাকিদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই পুলিশ আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। সিউড়ি থানার আইসি-র বিরুদ্ধে প্রোটেকশন মানি নেওয়ারও অভিযোগ তোলা হয়েছে ইডি-র তরফ থেকে। একইসঙ্গে ইডি-র অভিযোগ, গরুপাচারের কালোটাকা ‘নয়ছয়’ করেছেন এই পুলিশ আধিকারিক। এ ব্যাপারে কার-কার অ্যাকাউন্টে সেই টাকা গিয়েছে এবং কীভাবে তা করা হয়েছে তারই খোঁজ পেতে এদিন তাঁকে তলব করা হয়। ইডি-র আরও দাবি, গরুপাচারের অন্যতম মূল মাথা এই পুলিশ আধিকারিক। গরু পাচার কাণ্ডে আগেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল, মণীশ কোঠারি, সায়গল হোসেন।
প্রসঙ্গত, কয়লাপাচারকাণ্ডে একাধিকবার এই পুলিশ আধিকারিককে তলব করেছে সিবিআই। কয়েকদিন আগে নিজাম প্যালেসে তাঁকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কারণ, মহম্মদ আলির আগে সিউড়ি থানার ওসি-র দায়িত্বভার সামলেছেন। এখানেই সিবিআই তদন্তকারীদের দাবি, অনুপ মাঝির সঙ্গে তাঁর সরাসরি আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এমনকী কয়লা পাচারের প্রোটেকশন মানি নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এর আগে কয়লাপাচার কাণ্ডে একাধিক পুলিশ আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর মধ্যে অনেক আইপিএস পদমর্যাদার আধিকারিকেরাও ছিলেন। এমনকী গ্রেপ্তারও করা হয় রাজ্য পুলিশের এক পুলিশ ইন্সপেক্টরকে। সেই সূত্র ধরেই ডাক পড়ে সিউড়ির আইসি মহম্মদ আলির।