৪৪ দিনের মাথায় অনশন তুলে নিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা

বড় সিদ্ধান্ত মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীদের। ৪৪ দিনে তুলে নেওয়া হল বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে চলা অনশন কর্মসূচি। তবে আন্দোলন তাঁরা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মীরা। আর এর কারণ, হিসেবে যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে এও জানানো হয় যে, বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের পাশাপাশি অনশন কর্মসূচিতে অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন অনেকে। এমনকী সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে ধর্মঘট করার জন্য শোকজও করা হয়েছে। আর সেই কারণেই শনিবার এমন-ই এক সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান তাঁরা। তবে সঙ্গে এ হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন যে, প্রয়োজন পড়লে ফের অনশনে বসবেন।
আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে এদিন এও জানানো হয়, ‘অনশনকারীরা আাপাতত তাঁদের কর্মসূচি স্থগিত রেখেছেন। দীর্ঘদিন ধরে অনশনের পর তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে এও জানানো হয়, ‘আমরা শুধুমাত্র আন্দোলনের অভিমুখ ঘোরাচ্ছে মাত্র। এরপর ২৯ তারিখ গণ-অনশন হবে। তবে ওইদিন বার্গার-প্যাটিস খেয়ে ফের অনশন হবে। এতদিন আমরা না খেয়ে অনশন করেছি।’
প্রসঙ্গত, ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারিদের একাংশ। কেন্দ্রের সমহারে ডিএ-র দাবিতে অনড় তাঁরা। বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে রাজ্য সরকারের তিন শতাংশ ডিএ ঘোষণা খুশি করতে পারেনি ডিএ আন্দোলনকারীদের। এরপরই শহিদ মিনারে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ধর্নয় বসেন তাঁরা। এদিকে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দিয়ে রেখেছেন, ‘আমি অধিকার কাড়ার পক্ষে নই, অধিকার দেওয়ার পক্ষে। যেটা আইনি স্বীকৃত।’ একইসঙ্গে এও জানিয়ে দেন, ‘রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের কেন্দ্রের হারে মহার্ঘ ভাতা দেওযা সম্ভব নয়।’ এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এও জানিয়েছিলেন, ‘কাজ করবেন রাজ্য সরকারে, আর কেন্দ্রের হারে টাকা দিতে হবে, সেটা চলতে পারে না। রাজ্য রাজ্যের পে কমিশন অনুযায়ী চলে। আমরা ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী টাকা দিয়েছি।’