আগামী ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে তৃণমূলের ছাত্র যুব সমাবেশ। তৃণমূলের ছাত্র যুব সমাবেশে প্রধান বক্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এটাই স্বাভাবিক। এদিকে এই শহিদ মিনারের নীচেই ধরনায় বসেছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। ফলে প্রশ্ন উঠছে, ডিএ আন্দোলন চললে কীভাবে অভিষেকের সভা হবে তা নিয়েই। আর এই প্রশ্ন তোলা হয়েছে খোদ সেনাবাবিনীর তরফ থেকেই। কারণ, শহিদ মিনার-সহ এই চত্বরই ভারতীয় সেনার অধীনে। ফলে সেখানে কোনও সভা করতে গেলে সেনাবাহিনীর অনুমতি লাগে। এদিকে সূত্রে এ খবরও মিলছে, এই প্রসঙ্গে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করছে তৃণমূল।
শহিদ মিনারে তৃণমূলের ছাত্র যুব সমাবেশ নিয়ে সেনার তরফে প্রশ্ন, ডিএ আন্দোলনকারীরা অবস্থান করলে সেখানে তৃণমূলের সভা হবে কী ভাবে? এ ব্যাপারে তৃণমূলের তরফ ঠিক কী পরিকল্পনা তাও জানতে চায় সেনা। এদিকে তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের তরফ থেকে সেনার সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। এদিকে তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলে এও শোনা যাচ্ছে, এদিনের এই সভা নিয়ে সেনার অনুমতি না মিললে আদালতের দ্বারস্থ হবে তৃণমূল। অর্থাৎ ২৯ মার্চের সমাবেশ করতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল কংগ্রেস। অনুমতি নিয়ে কোনও জটিলতা তৈরি হলে সেক্ষেত্রে আইনের দ্বারস্থ হতেও প্রস্তুত তারা।
সূত্রের খবর, এদিনের এই সভার জন্য যখন অনুমতির জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সেনার কাছে আবেদন করা হয়, তখনই সেনার তরফে ব্যাখ্যা চাওয়া হয় যে, যেখানে ডিএ আন্দোলনকারীরা ধরনায় বসে আছেন, সেখানে সভা করা সম্ভ কি না তা নিয়ে। পাশাপাশি এও জানতে চাওয়া হয় তৃণমূলরে তরফে এই সভা নিয়ে ঠিক কী পরিকল্পনা রয়েছে।
সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এ প্রশ্ন উঠতে স্বভাবতই অভিষেকের সভা নিয়ে একটা জটিলতার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।