ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল অর্থাৎ ন্যাক-এর মূল্যায়নে এ প্লাস গ্রেড পেল বেথুন কলেজ। ন্যাক-এর মূল্যায়নে বেথুন কলেজের স্কোর হয়েছে 3.26। কলেজের শিক্ষাদান, গবেষণা এবং পরিকাঠামোর শ্রেষ্ঠত্বের উপর নির্ভর করে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়ন করে আসছে ইউজিসি-র ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল বা ন্যাক। শিক্ষাদান, গবেষণা পদ্ধতি, পরিকাঠামো-সহ ইউজিসি স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আরও বিভিন্ন বিষয়ের খুঁটিনাটি পর্যালোচনা করে থাকে ন্যাক। একাধিক মাপকাঠিতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে গ্রেড দেওয়া হয়। আর সেই মূল্যায়নের মাপকাঠিতেই এ প্লাস গ্রেড অর্জন করে বেথুন কলেজ।
প্রসঙ্গত, ১৮৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বেথুন কলেজ। সেসময় দেশের অনেক মহীয়সী নারীরাই এই কলেজ থেকে পাশ করেন। যার মধ্যে ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক হিসাবে এই কলেজ থেকেই পাশ করেন ডা. কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় এবং চন্দ্রমুখী বসু। পরবর্তীতে ভারতের প্রথম মহিলা চিকিৎসক হন ডা. কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় এবং চন্দ্রমুখী বসু প্রথম ভারতীয় মহিলা প্রিন্সিপাল হিসাবে বেথুন কলেজেরই অধ্যক্ষ হন। তবে শুধু এঁনারাই নন, প্রাক্তন ছাত্রীদের তালিকায় রয়েছেন স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা যোশী, সরলা দেবী চৌধুরাণী সহ আরও অনেক জ্ঞানীগুণী নারীরা। এবার এই কলেজের শিরোপায় একটি নতুন পালক যুক্ত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ন্যাক-এর এ প্লাস স্বীকৃতি পাওয়ার প্রসঙ্গে বেথুন কলেজের অফিসার ইন চার্জ অনুশিলা হাজরা ভট্টাচার্য জানান, ন্যাক-এর তৃতীয় সাইকেলে এ প্লাস গ্রেড পেয়েছে বেথুন কলেজ। গত বছর ব্রেবোন ও লরেটো কলেজ এই স্বীকৃতি পেয়েছিল। কলেজের সাফল্যে তিনি এও বলেন, ‘আমরা সব দিকে থেকে কলেজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করছি। ছাত্রীরা যাতে উচ্চ শিক্ষায় যেতে পারে সেইদিকে সবসময়ই নজর দেওয়া হয়। ছাত্রীদের পড়াশোনার মান বজায় রাখাই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।’