এবার উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে শুধুমাত্র প্রয়োজন আদালতের অনুমতির। আদালত অনুমতি দিলেই উচ্চ প্রাথমিকে ১২ হাজার নিয়োগ করা হবে বলে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে জানানো হয় এসএসসির তরফ থেকে। আদালত সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে কমিশন। সেখানে এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয় যে, আদালত অনুমতি দিলে তারা আগামী সপ্তাহেই উচ্চ প্রাথমিকের মেধা-তালিকা প্রকাশ করতে চায়। এদিকে বুধবারই এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার আদালতে জানিয়েছিলেন, আদালত ওই তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিলে সরাসরিই তা প্রকাশ করা হবে। এদিকে আদালত যদি এই তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশও দেয় তাও করা হবে। অর্থাৎ, সাড়ে পাঁচ মাস আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তালিকা প্রকাশের যে নির্দেশ দিয়েছিল, সেই তালিকা প্রকাশেরই অনুমতি চেয়ে আবার আদালতের দ্বারস্থ হল কমিশন। আদালত সূত্রে খবর, আগামী সোম অথবা মঙ্গলবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেনিয়ম হয়েছে বলে আদালতে দায়ের হয় মামলা। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ ছিল, ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এসএসসি-কে মেধা তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল। তারপর কেটে গেছে প্রায় সাত মাস। এখনও তা প্রকাশ করা হয়নি। এখানেই চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের দু’বার ইন্টারভিউ দেওয়া হয়ে গেলেও মেধা তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না।
এখানে আরও একটা ব্যাপার বলতেই হয় যে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাঁরা ইন্টারভিউতে ডাক পেয়েছিলেন, তাঁদের ইন্টারভিউ নেওয়া হোক। পরবর্তীকালে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ হয়ে মামলা হয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চে। আবার ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখে। ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছিল, আদালতের নির্দেশ ছাড়া নিয়োগ করতে পারবে না এসএসসি। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়াই সম্পন্ন করতে আদালতের দারস্থ হয় এসএসসি। এদিকে, মেধা-তালিকা দ্রুত প্রকাশের দাবিতে বুধবার দুপুরে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা সল্টলেকে এসএসসি-র অফিস অভিযান করেন। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সল্টলেক চত্বর। আটকও করা হয় অনেককে।