একি হল। ৩৬০ ডিগ্রি থেকে একেবারে ০ ডিগ্রিতে পৌঁছে গেলেন। কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেছিলেন, ১০ বছর ধরে টি-২০ ক্রিকেটে অভ্যস্ত সূর্যকুমার যাদব ওডিআই ক্রিকেটটা শিখছেন। আস্থা দেখিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এবার শিখতে গিয়েই ওডিআই ফরম্যাটে লজ্জার নজির গড়ে ফেললেন সূর্য। টি-২০র সেরা ব্যাটসম্যান অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে রীতিমতো নাকানি চোবানি খেয়েছেন। বুধবার চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় তথা সিরিজের শেষ ম্যাচে অ্যাস্টন অ্যাগার তাঁকে ক্লিন বোল্ড করে দেন। একটি ওডিআই সিরিজে পরপর তিনটে ম্যাচেই ‘গোল্ডেন ডাক’ অর্থাৎ প্রথম বলে আউট হন তিনি। সূর্যই হলেন একমাত্র ব্যাটার যিনি এমন একটি ওডিআই সিরিজে টানা তিনটি ম্যাচে প্রথম বলে আউট হলেন। ‘মিস্টার ৩৬০’ নামে সুপরিচিত সূর্যকুমারের এই হাল দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়। ফরম্যাট বদলাতেই ৩৬০ থেকে কীভাবে শূন্যে এসে পৌঁছলেন তা ভেবে পাচ্ছেন না অনুরাগীরা। ওডিআই ফরম্যাটে কী সূর্যে গ্রহণ লেগেছে? বর্তমানে ক্রিকেট সমর্থকদের মনে উঁকি দিচ্ছে যে প্রশ্ন। লাগাতার তিনটি ম্যাচে বিনা খাতা খুলেই আউট হয়েছেন তিনি। মুম্বই এবং বিশাখাপত্তনমে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচে মিচেল স্টার্কের বলে এলবিডব্লিউ হন। চেন্নাইয়ে মাঠে নামতেই প্রথম বলে তাঁকে বোল্ড আউট করেন অ্যাস্টন অ্যাগার। ওডিআইতে পরপর তিন ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া ষষ্ঠ ভারতীয় ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব । ভারতের সামনে ২৭০ রানের লক্ষ্য রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচে চতুর্থ নম্বরে নামলেও এদিন ষষ্ঠ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। ৩৬তম ওভারের প্রথম বলে বিরাট কোহলি ৫৪ রান করে আউট হন। তাই সব ফোকাস গিয়ে পড়ে ৩২ বছরের ডানহাতি ব্যাটারের উপর। অফসাইডে দ্রুত আসা শর্ট বল কাট করতে চেয়েছিলেন সূর্য। বিপদ এড়াতে পারেননি। অ্যাস্টন অ্যাগারের সেটাই ছিল শেষ ওভার। আগের নয় ওভারে উইকেট পাননি তিনি। বিরাটের পর সূর্যকে ফিরিয়ে নিজের কোটার শেষ ওভারে জোড়া উইকেট হাসিল করেন।