কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে সিআরপিএফ মোতায়েন করায় সমস্যা রয়েছে, এমনটাই কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হল কেন্দ্রের তরফ থেকে। কারণ, পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কৌস্তভ। সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে সেই মামলার শুনানি ছিল। আর এই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কৌস্তভের বাড়িতে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব নয়। কারণ, হিসেবে দেখানো হয়েছে, সিআরপিএফ-এর অফিস থেকে কৌস্তভ বাগচীর বাড়ির দূরত্ব।
এদিকে এদিন আদালতে রিপোর্টও পেশ করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা পরামর্শ দেন, এই সমস্যার কোনও সমাধানসূত্র বের করা সম্ভব কি না তা নিয়ে আইনজীবীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন। একইসঙ্গে বিচারপতি মান্থা মন্তব্য করেন, কৌস্তভ বাগচী একজন আইনজীবী এবং মুখ্যমন্ত্রীও সকলের মুখ্যমন্ত্রী। এই দুর্ভাগ্যজনক বিতর্কের শেষ হওয়া দরকার।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ মধ্যরাতে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে কোনওরকম নোটিস ছাড়াই হানা দেয় কলকাতা পুলিশ। এরপরই ৪ মার্চ সকালে কৌস্তভকে গ্রেপ্তারও করা হয়। যদিও এই গ্রেপ্তারির ৮ ঘণ্টার মধ্যে জামিনও পান এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন কৌস্তভ। তাঁর বিরুদ্ধে চলা পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয় কোর্ট। কোর্টের অনুমতি ছাড়া কোনও থানা কৌস্তভের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। একইসঙ্গে এই অভিযান এবং বড়তলা থানার অতি সক্রিয়তা নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্টও তলব করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর মন্তব্য ছিল, কোনও নোটিস না পাঠিয়ে নাগরিকের অধিকার ক্ষুন্ন করেছে পুলিশ। কোন ভিত্তিতে মাঝরাতে পুলিশ কৌস্তভের বাড়ি গেলেন তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে আদালতে। এরপর এই ঘটনার কেস ডায়েরিও খতিয়ে দেখার কথা বলেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট তলব করার পাশাপাশি সিআরপিএফের কাছে জানতে চান, তারা নিরাপত্তা দিতে পারবে কি না। কৌস্তভ নিজেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার আর্জি জানান। এরপর সোমবার সমস্ত রিপোর্টই জমা পড়ে। সেখানেই কেন্দ্র জানিয়ে দেয়, সিআরপিএফ-নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়।