ফের ভারতে বাড়ল কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, সোমবার দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছুঁই ছুঁই। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, প্রায় ৪ মাস পর এত বিপুল সংখ্যায় কোভিড আক্রান্তের খোঁজ মিলল। প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহ ধরে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে কোভিড সংক্রমণ। তবে কোভিডের থাবা ফের চওড়া হতেই ফের সতর্ক প্রশাসন। কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে এবার কী পদক্ষেপ করা হবে তা ঠিক করতে সোমবারই বৈঠকে বসছেন শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকরা, এমনটাই সূত্রে খবর।
সোমবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯১৮। আর এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, দেশে এখন কোভিডে আক্রান্ত সক্রিয় কেসের সংখ্যা ৬,৩৫০।
এদিকে রবিবার আবার দেশে হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। গত চারমাসে যা সর্বোচ্চ। রবিবার এই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,০৭০। শেষ হাজারের মতো সংক্রমণ নজরে আসে ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর। তারপর থেকে নিম্নমুখী ছিল এই সংক্রমণের গ্রাফ। তবে গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই লকডাউনের প্রশ্নই উঁকি দিচ্ছে সবার মনেই। তবে পরিস্থিতি যাতে সেদিকে না যায়, সেই বিষয়ে সতর্ক প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রবিবার পুনরায় গাইডলাইন জারি করেছে। এদিকে কেন্দ্রের তরফে জারি করা সেই নির্দেশিকায় অ্য়ান্টিবায়োটিকের লাগামহীন ব্যবহারে লাল সংকেত দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ‘ব্যাকটেরিয়াজাত সংক্রমণ ধরা না পড়লে অ্য়ান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত নয়। অন্যান্য সংক্রমণের পাশাপাশি কোভিড-১৯ সংক্রমণের সম্ভাবনাও বিবেচনা করা উচিত।’