হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যলয়। কারণ, বেশ কিছুদিন ধরেই একটা অভিযোগ সামনে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয় এবং জোড়াসাঁকোর ক্যাম্পাসে ঘর দখল করে রাজ্যের শাসক দলের পার্টি অফিস খোলার। এরপর এই ঘটনায় একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর জোড়াসাঁকোর ক্যাম্পাসের পার্টি অফিসটি বন্ধ হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও বিশ্ববাংলার লোগো ব্যবহার করা হয়। এই নিয়ে এদিন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ববাংলার লোগো কেন? লোগো সরাতে রাজ্যের ভূমিকা কী? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক ঘরই বা কেন চলছে? যে কেন বিশ্ববাংলা লোগো?’
এরপরই এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তৃণমূলের পার্টি অফিস এবং বিশ্ববাংলার লোগো ব্যবহার করা নিয়ে কড়া নির্দেশ দেন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, কলকাতা পুরসভা এবং বিশেষ কমিটি এই গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে। পুরসভার তরফে জানাতে হবে কোথায় কী পরিবর্তন হয়েছে। আগামী ২৭ মার্চ থেকে এই তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন এও নির্দেশও দেয়, হেরিটেজ সংরক্ষণ কমিটি ফের নতুন করে জোড়াসাঁকো ও বিটি রোডের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে দেখবে। আরকিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইণ্ডিয়ার সদস্যদের নিয়ে এই পরিদর্শন করতে হবে আগামী ২৭ মার্চ। আলাদা আলাদা ভাবে রিপোর্ট দিতে হবে দু’টি ক্যাম্পাসের ক্ষেত্রেই। আরকিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইণ্ডিয়ার ডিরেক্টরকেও রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সমল্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১০ এপ্রিল।
এদিকে বিটি রোডে মরকতকুঞ্জের প্রাচীন ভবনটির একাংশ দখল করে শাসকদলের কর্মী সংগঠনের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন অফিস বানানো ও বিশ্ববাংলা লোগো লাগানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মত, যেখানে এই ইউনিয়ন অফিস তৈরি হয়েছে তা হেরিটেজের অংশই নয়।