ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মা ও দাদাকে নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকে, এমন নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তবে পুলিশি নিরাপত্তায় আশা রাখতে পারছেন না অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। আর সেই কারণেই শনিবার সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের দ্বারস্থ হতে দেখা গেল বিশ্বজিৎকে। কারণ, তিনি চাইছেন আরও ভাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই ঘটনায় সিবিআই সূত্রে খবর, সিবিআইয়ের আধিকারিকরা বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন বিশ্বজিতের সঙ্গে। নিরাপত্তার বিষয়েও আশ্বস্ত করা হয় তাঁকে।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও নড়েচড়ে বসে। এরপর রাজ্য সরকারকে সরকারকে ওই পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বিশ্বজিতের অভিযোগ, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সেই জেলবন্দিদের পরিবারের লোকজনই সরকার বাড়িতে হামলা চালায়। মা এবং তাঁকে জোর করে কাগজে সই করানোর চেষ্টারও অভিযোগ তোলেন বিশ্বজিৎ। তাঁর দাবি, ওই কাগজে মামলা প্রত্যাহারের কথা লেখা ছিল। যা নিয়ে বাড়তে থাকে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নিম্ন আদালতে অভিজিতের মা ও দাদার ১৯ এবং ২০ মার্চ সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে আবার অভিজিৎ খুনে ইতিমধ্যেই দুবার বদল করা হয়েছে তদন্তকারী অফিসারও। এই মামলায় শাসকদলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে নেমে ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই।
এরই মাঝে এই হামলার ঘটনার যাবতীয় ফুটেজ পুলিশকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় হাইকোর্টের তরফে। পাশাপাশি নারকেলডাঙা এলাকায় অভিজিতের বাড়িতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ক্যাম্প করে পাহারা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশকে।