ডিজিটাল অসহযোগ শুরু করার লক্ষ্যে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিল বিরোধী কর্মী সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সূত্রে খবর, এ দিন মঞ্চের তরফে এক কর্মী নবান্নে এসে মুখ্যসচিবের দপ্তরে ডিজিটাল স্ট্রাইকের বার্তা দিয়ে একটি চিঠি জমা দেন। এই প্রসঙ্গে সংগঠনের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, বকেয়া ডিএ-সহ অন্যান্য দাবিতে আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবেই এই কর্মসূচি নিয়েছেন তাঁরা। এই কর্মসূচিতে শনিবার থেকেই ব্যক্তিগত ফোনে দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের ফোন না-ধরার অঙ্গীকার নিয়েছেন ওই কর্মীরা। ব্যক্তিগত ফোনে তাঁরা কোনও আদেশও নেবেন না। একইসঙ্গে এও জানানো হয়েছে, সকাল সাড়ে দশটার আগে ও বিকেল সাড়ে চারটের পর সরকারি কর্তাদের কোনও নির্দেশও তাঁরা পালন করবেন না। দপ্তরের কর্তৃপক্ষের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও তাঁরা স্বেচ্ছায় বিদায় নিচ্ছেন। এখানেই শেষ নয়, এরই সঙ্গে ছুটির দিনে কোনও রকম সরকারি কাজ করতেও তাঁরা অস্বীকার করেন। মঞ্চ জানিয়েছে, এই একই পথে হাঁটবেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। সঙ্গে শিক্ষক- শিক্ষিকাদের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, তাঁরা বাংলা শিক্ষা পোর্টালের কোনও কাজ নিজেদের মোবাইল-কম্পিউটারে করবেন না, নিজেদের ডেটাও ব্যবহার করবেন না।
প্রসঙ্গত, ১০ মার্চ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেন সরকারি কর্মীরা। অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী পদে নিযুক্তিকরণ ও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে ওই ১০ মার্চই যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফ থেকে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে স্থির করা হয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসহযোগিতার পথে হাঁটবেন তাঁরা। আর তারই অঙ্গ হিসেবে ১৮ মার্চ থেকে ডিজিটাল নন-কোঅপারেশন অর্থাৎ ডিজিটাল স্ট্রাইকের ডাক দেন সরকারি কর্মীরা।