শাসক দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ-ই একমাত্র পরিচয় ছিল না কুন্তল ঘোষের। একইসঙ্গে যোগাযোগ ছিল টলিপাড়ার বিভিন্ন অভিনেতা অভিত্রীর সঙ্গেও। টলি পাড়ায় ছিল আনাগোনাও। আর ইডি-র আধিকারিকেরা যতই তদন্তের গভীর যাচ্ছেন ততই স্পষ্ট হচ্ছে কুন্তেলর সঙ্গে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের বিষয়টি। এটাও স্পষ্ট যে, কুন্তলের টলি-যোগ শুধুমাত্র বনি সেনগুপ্তেই সীমাবদ্ধ নয়।
এদিকে সূত্রের খবর, সিনেমা বানাতে আস্ত প্রোডাকশন হাউস খুলে ফেলেছিলেন সদ্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত কুন্তল। তাঁর প্রযোজনায় তৈরি একটি ছবি প্রদর্শিত হয়েছিল কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবেও। শুধু তাই নয়, বনির সঙ্গে প্রোডাকশন হাউস খোলার পরিকল্পনাও নাকি ছিল তাঁর। আর এখানেই এখন ইডি-র আধিকারিকদের লক্ষ্য, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টলিউডে ব্যবহার করা হয়েছিল কি না সে ব্যাপারেও। একইসঙ্গে এ প্রশ্নও উঠছে, এই টাকা টলিউডি ঢালা হলে তা কার কার পকেটে গিয়েছে।
এদিকে কুন্তল সম্পর্কে আরও খবর মিলেছে যে, প্রোডাকশন হাউস থেকে শুরু করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, নানা পথে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা খরচ করেছেন কুন্তল। ‘নবকথা ইনিশিয়েটিভ’ নামে তিনি একটি প্রোডাকশন হাউস তৈরি করেছিলেন। ২৮ তম কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয় কুন্তল প্রযোজিত ছবি ‘স্পেয়ার কি।’ সেই ছবিতে অভিনয় করেন সৌরভ দাস, অনিন্দিতা বোস ও দর্শনা বনিক।
এদিকে আবার বনি সেনগুপ্তকে তলব করার পর অভিনেতা দাবি করেছিলেন, সিনেমায় কাজ করার জন্য কুন্তলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বনি-কুন্তল যোগ যে শুধুই ছবি তৈরি করার জন্য তা মানতে পারছেন না ইডি-র আধিকারিকেরা, এমনটাই সূত্রে খবরষ ইডি সূত্রের খবর বনি ও কুন্তল যৌথভাবে স্টুডিও তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন। স্টুডিও নিয়ে আর্থিক লেনদেনও হয়েছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এখানেই শেষ নয়, কুন্তলের মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে টলিউডের একাধিক অভিনেতাকে। বনির পাশাপাশি গীতশ্রী রায় নামে এক অভিনেত্রীকেও দেখা গিয়েছিল বলে জানানো হয় ইডি-র তরফ থেকে। ২০২২ সালে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের এক সদস্যাও। এরই পাশাপাশি কোভিডের সময় কুন্তল ঘোষ তৈরি করেছিলেন সবুজ সঙ্গী নামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সেই সংস্থার লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যও খুঁজছে ইডি।