সপ্তাহভর রাজ্যজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্ভাবনার কথা শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। একইসঙ্গে এও জানানো হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি। সঙ্গে থাকবে দমকা ঝড়ো হাওয়া। যার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩০ থেক ৪০ কিলোমিটার। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাতের সম্ভাবনাও থাকছে। বুধবার থেকে শুক্রবার এর মধ্যে এই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি, বজ্রপাতের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি এমনটাই জানা যাচ্ছে মঙ্গলবারের আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস থেকে। এর মধ্যে বুধবার ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমানে। এরপর শনিবার থেকে এই দুর্যোগ আরও বাড়ার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। শনিবার থেকে এই দুর্যোগ দেখা দেবে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই।
এই ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতাতেও। আর তা হতে পারে বৃহস্পতি এবং শুক্রবার। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ বুধবার বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই কলকাতায়। সোমবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৩৪ থেকে ৮৮ শতাংশ।
এদিকে মঙ্গলবার ও বুধবার এই দুদিন বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি, বজ্রপাতের সম্ভাবনা এবং শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলায়। দার্জিলিং কালিম্পং আলিপুরদুয়ার জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে। বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই। সঙ্গে কোথাও কোথাও হালকা দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আবহাওয়ার এই বদলের কারণ পূবালি হাওয়া ও পশ্চিমী হাওয়ার সংঘাত। এদিকে ঝাড়খণ্ডে তৈরি হয়েছে এক নিম্নচাপ অক্ষরেখা এবং সঙ্গে রয়েছে সক্রিয় ঘূর্ণাবর্তও। যার জেরে প্রচুর জলীয় বাষ্প আসবে বঙ্গোপসাগর থেকে। মঙ্গলবার থেকে সোমবার পর্যন্ত এক সপ্তাহ ধরে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি বাংলায়। ঝড়-বৃষ্টি সঙ্গে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা। কোথাও কোথাও ঝড়ের গতিবেগ কালবৈশাখীর রূপ নিতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
তবে এই বৃষ্টিত ক্ষতি হতে পারে চাষের। সপ্তাহভর এই ঝড় বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টিতে শস্যের ক্ষতির সঙ্গে উত্তরবঙ্গের আম চাষের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা। একইসঙ্গে দুর্বল বা কাঁচা কাঠামোর ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।