নন্দীগ্রাম গণহত্যা দিবসে নন্দীগ্রামে মিছিল বা সভা করার অনুমতি রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে পাচ্ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই তিনি হাইকোর্টের হন। আর্জি জানান নন্দীগ্রামে সভা করার অনুমতি দেওযা হোক তাঁকে। তারই প্রক্ষিতে সোমবার সভা করার জন্য রবিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি হাইকোর্টের তরফ থেকে এও বলা হয় যে সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে সভা করতে হবে শুভেন্দুকে। সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে জায়গা খালি করে দিতে হবে। আর মামলাকারীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করবে। কোনওভাবেই যাতে জনজীবন ব্যহত না হয় সেদিকে নজর রাখার কথাও বলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানির সময়ে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, আরও একটি রাজনৈতিক দলকে সকালে সভা করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। একই সময়ে দুটি রাজনৈতিক দলকে অনুমতি দেওয়া হলে আইন শৃঙ্খলা সমস্যা হতে পারে। এরপরই আদালতের তরফে জানানো হয়, বেলা ১১টা থেকে ৩টে’র মধ্যে তৃণমূল মিছিল করতে পারবে। অর্থাৎ, দুই পৃথক রাজনৈতিক দলের জন্য সময় ভাগ করে মিছিল করার অনুমতি দিল হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, ১৪ মার্চ, মঙ্গলবার, নন্দীগ্রামে শহিদ তর্পণ কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। ২০০৭ সালে ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলিচালনার অভিযোগ ওঠে। পরের বছর ২০০৮ সাল থেকে সেই দিনটাকে নন্দীগ্রাম দিবস হিসাবে পালন করতে থাকে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সেই আন্দোলনের মুখ ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তারপর বহু জল গড়িয়েছে। একসময়ে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী আজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন শুভেন্দু। এখন তাঁরা যুযুধান প্রতিপক্ষ। গত কয়েক বছরে নন্দীগ্রাম দিবসও এই প্রতিপক্ষের মধ্যে সংঘাতের আবহও তৈরি করে। ২০২৩-এও এই সভায় অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মামলা করার অনুমতি দেন। হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দেয়, তৃণমূল ও বিজেপি দুজনই মিছিল করতে পারবে।