দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বেতন ও ভাতার রেকর্ড বৃদ্ধি। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও দিল্লি বিধানসভার স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, কেজরিওয়াল মন্ত্রিসভার সমস্ত সদস্য, চিফ হুইপ ও বিরোধী দলনেতাদের বেতন ও ভাতা বাড়তে চলেছে। রেকর্ড বেতন বাড়ছে সমস্ত বিধায়কেরও। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রে এই বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ ১৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ, এতদিন প্রতি মাসে ৭২ হাজার টাকা বেতন পেতেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। বর্ধিত বেতন নিয়ে এবার থেকে মাসে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বেতন পাবেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, দিল্লির আম আদমি পার্টি বা আপ সরকারের মন্ত্রীদের বর্তমান মূল বেতন অর্থাৎ বেসিক পে ২০ হাজার টাকা। চলতি অর্থবর্ষ থেকে সেটা বেড়ে দাঁড়াবে ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া নির্বাচনী ভাতা হিসেবে এতোদিন ১৮ হাজার টাকা পেতেন দিল্লির বিধায়করা। যা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এছাড়া ৬ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে পরিবহণ ভাতা ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সচিব ভাতাও বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত হিসেবে ১৫ হাজার টাকা পাবেন মন্ত্রী-বিধায়করা। আগে পেতেন ১০ হাজার টাকা।
প্রসঙ্গত, মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধি করতে মোট ৫টি বিল এনেছিল কেজরিওয়াল সরকার। বিধানসভায় বিলগুলি পাস হয়। এরপর চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দিল্লির মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেন। তার পরই এই নিয়ে নির্দেশিকা জারি করে কেজরিওয়াল সরকারের আইন ও পরিষদীয় দপ্তর।
তারই জেরে বিধায়কদের ক্ষেত্রে ৬৬ শতাংশ বেতন ও ভাতা বৃদ্ধি হল কেজরিওয়ালের সরকারের আমলে। বর্তমানে দিল্লি বিধানসভার কোনও সদস্য বেতন ও ভাতা মিলিয়ে মাসে ৫৪ হাজার টাকা পান। কেজরিওয়াল সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর তা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৯০ হাজার টাকা। এতদিন টেলিফোন ভাতা হিসেবে মাসে ৮ হাজার টাকা পেতেন দিল্লির বিধায়করা। এই ভাতা ২ হাজার টাকা বাড়িয়েছে আপ সরকার। এছাড়াও আতিথেয়তা ভাতা ৪ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। দিল্লির মন্ত্রী-বিধায়করা বেড়াতে যাওয়ার জন্যেও টাকা পান। আগে পরিবার নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বছরে ৫০ হাজার টাকা পেতেন তাঁরা। এবার তা বাড়িতে এক লক্ষ টাকা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রায় ১২ বছর পর দিল্লি সরকারের মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন ও ভাতা বাড়তে চলছে। শেষবার মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন ও ভাতা বেড়েছিল ২০১১-তে।