শ্রীনগর: প্রেমিকাকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করে রাখা হয়েছিল ঘরেই সদ্য কেনা নতুন ফ্রিজে। সময়মতো সেই টুকরো একটা একটা করে নিয়ে গিয়ে ১৮ দিন ধরে ছতরপুর ছিটমহলের জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় ফেলেছিল প্রেমিক, তদন্তে উঠে আসে হাড়হিম করা তথ্য। দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। অভিযুক্ত প্রেমিকের মানসিক পরিস্থিতি নিয়ে চলেছিল বিচার বিশ্লেষণ।এবার সেই ঘটনার পুনারবৃত্তি হল জম্মু-কাশ্মীরের বদগামে। বছর তিরিশের এক মহিলাকে খুনের পর তাঁর দেহ টুকরো করে একাধিক জায়গায় পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাবির নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মহিলার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশের দাবি, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। পুলিশ জানিয়েছে, ৮ মার্চ মহিলার ভাই তনবীর আহমেদ খান একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অভিযোগে তনবীর জানিয়েছিলেন, ৭ মার্চ কোচিং ক্লাসে গিয়েছিলেন তাঁর বোন। কিন্তু বাড়িতে ফেরেননি। ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় ৮ মার্চ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তনবীর।
তদন্তে নেমে পুলিশ একাধিক সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁদের মধ্যে বদগামের শাবিরও ছিল। শাবিরের কথায় অসঙ্গতি পাওয়ায় তাকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সন্দেহ বাড়ে। শাবির শেষ পর্যন্ত ওই মহিলাকে খুনের কথা স্বীকার করে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলাকে খুন করার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহাংশ একাধিক জায়গায় পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। শাবিরকে সঙ্গে নিয়ে সেই জায়গাগুলি থেকে মহিলার দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শাবির বিবাহিত। কিন্তু মহিলাকে কেন খুন করলেন, তার কারণ স্পষ্ট নয়। তাঁকে জেরা করে সেটাই জানার চেষ্টা চলছে।