ছাত্র নির্বাচন সহ বেশ কিছু দাবিকে সামনে রেখে শুক্রবার বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছে এসএফআই। হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দু’ টি মিছিল বিধানসভা অভিমুখে যাওয়ার কথা। এদিকে কর্মসূচির আগের দিন বৃহস্পতিবার পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এই মিছিলে তাদের অনুমতি নেই। কারণ, বেশ কিছু পরীক্ষা থাকায় এই মিছিলের অনুমতি দেওযা যাচ্ছে না বলেই জানানো হয় কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে বলে জানিয়েছে এসএফআই।এদিকে পুলিশের অনুমতি না থাকলেও মিছিল করতে তারা অনড় বলে জানিয়েছেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার সময় আর কর্মসূচি দুটো এক নয়। তাই কর্মসূচির জন্য পরীক্ষার্থীদের কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। শুক্রবার তাই মিছিল হবেই।’
এদিকে এসএফআই সংগঠন সূত্রে খবর, কর্মসূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আনার কৌশল নেওয়া হচ্ছে। মূলত দু’ দিকই খোলা রাখছে সংগঠনের নেতৃত্ব। প্রথমত, পুলিশ যদি প্রথমেই আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করে তাহলে কর্মসূচির কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। সেক্ষেত্রে মিছিলের জায়গা পরিবর্তন করা হতে পারে। মিছিল যে পথ দিয়ে যাওয়ার কথা তাঁর পরিবর্তন হতে পারে। আর যদি মিছিল যেতে দেওয়া হয় রাস্তার কোনো জায়গায় ব্যারিকেট করা হয় তাহলে সেখানেই মিছিল দাঁড়িয়ে পড়বে এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সংগঠনের রাজ্য কমিটির তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, ‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবশ্যই কোনও পরীক্ষার্থী যাতে সমস্যায় না পড়ে সে দিকটা মাথায় রেখেই কর্মসূচি রূপায়ণ করা হবে। পরীক্ষার্থীর পাশাপাশি কোনও যাত্রী বা সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলা সংগঠনের উদ্দেশ্য নয়। সংগঠনের দাবি শিক্ষা মন্ত্রীকে সংগঠনের বক্তব্য জানানো। প্রশাসন যদি সেক্ষেত্রে সহযোগিতা করে তাহলে আন্দোলনকারীরাও কোনো রকম অসহযোগিতার পথে হাঁটবে না। আর তা না করে পুলিশ যদি বল প্রয়োগ করে কর্মসূচি বন্ধ করার চেষ্টা করে তাহলে সমস্যা সমাধান হবে না। সব মিছিল নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট জায়গা থেকে বেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে যেহেতু অনেক আগেই এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে সেহেতু এই কর্মসূচি থেকে সরে যাওয়ার কোন প্রশ্নই নেই। তবে শেষ মুহূর্তে অনুমতি না দিয়ে পুলিশই সেই কর্মসূচির কার্যত বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এক দিকে সরকার একতরফা ভাবে সিদ্ধান্ত জারি রেখেছে। ছাত্র নির্বাচনের কোনও ইঙ্গিতই এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অথচ ছাত্রছাত্রীরা নির্বাচন করতে চায়। অন্যদিকে প্রশাসনকে দিয়ে কার্যত কর্মসূচি বন্ধ করার অপচেষ্টা চলছে। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে আন্দোলন করে যাবে এসএফআই।’