শিশু মৃত্যু অব্যাহত কলকাতায়, বৃহস্পতি থেকে শুক্রবারের মধ্যে মৃত ৩

বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে আরও ৩ শিশুর মৃত্যু বিসি রায় হাসপাতালে। মৃত শিশুদের মধ্যে একজন শান্তনু কীর্তনীয়া। বয়স ১ বছর ১১ মাস। বিসি রায় হাসপাতাল সূত্রে খবর, দোলের দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। অপর জন আয়ান মণ্ডল। বছর দেড়েকের আয়ান বনগাঁর বাসিন্দা। শনিবার ভর্তি হওয়ার পর শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর, এমনটাই খবর হাসপাতাল সূত্রে। অন্যদিকে, ঠাকুরনগরের বাসিন্দা ২ বছরের শিশুর শুক্রবার ভোরে মৃত্যু হয়। ফলে পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টে মোট শিশুমৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১২৮-এ।

এদিকে শিশু মৃত্যু নিয়ে এক স্বাস্থ্য অধিকর্তার দাবি, শিশু মৃত্যুর হার খুব যে একটা বেশি হয়েছে, তা বলা যাবে না। তাঁর কথায়, ‘শিশু মৃত্যু তো আমরা বন্ধ করতে পারিনি। প্রতিদিন তিনটে মৃত্যুর জায়গায় গড় চারটে হয়েছে। খুব যে মৃত্যু বেড়েছে সেটাও নয়।’ তবে এরই পাশাপাশি তিনি এটাও স্বীকার করেছেন, টরেফারটা আগে যতটা হতো, ততটা এখন হয় না। আমরা জেলাতেও অনেক বেড চালু করেছি। মনিটর রয়েছে, ভেন্টিলেটর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছি, এটাও করব।’

এদিকে বুধবারই বিসি রায় শিশু হাসপাতালে পরিদর্শনে আসেন রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় ও সদস্য অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসকও রয়েছেন প্রচুর, কোথাও একটি বেডে দুটি শিশুর থাকার মতো ঘটনা ঘটছে না। দুর্ব্যবহারের অভিযোগও সঠিক নয়। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন  জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। বুধবারও রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বি সি রায় শিশু হাসপাতালে দুই ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক জন শিশুর মৃত্যু হয়।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 11 =