ডিএ-এর দাবিতে কর্মচারিদের একাংশের ডাকা ধর্মঘটের পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার এই বার্তা আন্দোলনকারীদের কাছে নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ, এটা বুঝিয়ে বলা প্রয়োজন পড়ে না। তবে এই ঘটনায় যে ঘটনা ফের বিতর্কের ফোকাল পয়েন্টে চলে এল তা হল, বাম বিজেপি সমঝোতা। অর্থাৎ, এখানেও যেন আঁচ পড়ল সেই নন্দ কুমার মডেল তত্ত্বের। বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বিজেপি, বাম এবং কংগ্রেসের বিরোধী। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে তৃণমূলকে যেভাবে হারাতে পারা যায়, সেই অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করছে মানুষ।’ শুধু তাই নয়, এদিনও সরকারি কর্মচারিদের এই দাবি ন্যায় সঙ্গত বলেও এদিন মন্তব্য করেন শুভেন্দু। এদিকে আবার ধর্মঘটে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে বিজেপি সমর্থিত সরকারি কর্মচারি পরিষদও।
এখানেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা,, বাম-বিজেপি জোট হতে প্রথম দেখছিল নন্দকুমার সমবায় নির্বাচনে। সেই জোটে তৃণমূলকে হারালে পরবর্তীতে সমবায় নির্বাচনগুলিতে তেমন সাফাল্য পায়নি। তবে, বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে বিজেপি পরোক্ষ সমর্থন রাজ্য রাজনীতিতে অন্য মাত্রা নিয়েছে। সাগরদিঘির উপনির্বাচনেও বাম-কংগ্রেস জোটকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে। শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘আদর্শগতভাবে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের সবার উচিত ‘নো ভোট টু মমতা’ বলা। তারপর মানুষ ঠিক করবেন, তাঁরা বিজেপিকে ক্ষমতায় আনবেন না অন্য কাউকে।’ এটাও ভুলে গেলে চলবে না যে, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীর জয়লাভের পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা। তবে
এখানে এটাও স্পষ্ট যে বঙ্গ রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বও তাঁদের সঙ্গে কোনও হাত মেলানোর পথে হাঁটবেন না। তাহলে এমন বার্তা? রাজনৈতিক অভিজ্ঞরা মনে করছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল বিরোধী জোট গড়তে চাইছে বিরোধী দল। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা তো বলিই ওরা সব এক , এটাই আবার প্রমাণিত হল। বাম পদ্ম হাত, সব একসঙ্গে মিলালেও, মানুষ করে দেবে কুপোকাত। একটা আসনে জিতে এত আনন্দ করার কিছু নেই।‘