বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সঙ্গে এবার সংঘাতে জড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। কাজল শেখ বীরভূম জেলার তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য। রবিবার পৌষ মেলা বন্ধ করে দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে উপাচার্যকে হুঁশিয়ারি দেন কাজল। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিশানা করে কাজল বলেন, ‘শুধু বীরভূম নয়, বাংলাতে আমার মতন হাজার হাজার কাজল শেখ আছে। যদি আপনি আপনার রাস্তা থেকে না সরেন, তাহলে হাজার হাজার কাজল শেখ এমন আন্দোলন করবে যে আপনি এক সেকেন্ডও টিকতে পারবেন না।’ এর আগে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সঙ্গে জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেও বিরোধে জড়াতে দেখা গেছে তাঁকে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বভারতীর অবনমনের কারণে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন উপাচার্য।এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে।
এরই রেশ টেনে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে কাজল রবিবার কঙ্কালিতলার এক কর্মী সভা থেকে হুঁশিয়ারির সুরে জানান, ‘পুঁথিগত বিদ্যা নিয়ে সুস্থ, স্বাভাবিকভাবে সংসার চালানো যায়। কিন্তু পুঁথিগত বিদ্যা নিয়ে যে সমস্ত শ্রেণির মানুষের মন জয় করবে, মানুষের মনের মধ্যে বাসা বাঁধবে, সে যে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে, এটা কিন্তু নয় তার জ্বলন্ত উদাহরণ বিশ্বভারতীর উপাচার্য। বিশ্বভারতী শুধু আমাদের জেলার গর্ব নয় দেশের গর্ব, সেই গরিমাটাকে কলুষিত করার চেষ্টা চলছে।’ একইসঙ্গে কাজলের অভিযোগ, ৭ পৌষ যে মেলাটা অনুষ্ঠিত হত বিশ্বভারতীতে, সেই মেলাতে শুধু বীরভূমের মানুষ নয়, সারা ভারতের মানুষ আসতো মেলা দেখার জন্য। এই মেলাকে কেন্দ্র করে আর্থিক দিক থেকেও অনেক উন্নত হয়েছিল স্থানীয় ব্যবসাদাররা। তাঁর কথায়, ‘বসন্ত উৎসবটিকে নিয়ে আমাদের ছেলে মেয়েরা আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে যায় জাতি, ধর্ম ও দলমত নির্বিশেষে সকলেই যোগদান করে এই উৎসবে, সেটা কেউ বন্ধ করার চেষ্টা করছে।‘ এরপরই এর রেশ টেনে বলেন, ’এখনও সময় আছে, শুধরে যান। না হলে কাজল ঝড় উঠবে। আর জেনে রাখুন, আমি যেটা বলি, সেটা করে দেখাই।‘
অর্থাৎ, অনুব্রতের ঢংয়েই এদিন বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল তাঁকে। এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতার এই হুঁশিয়ারি নিয়ে সমালোচনা করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।