শনিবারই ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে জামিন পেলেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগাচি। এদিন তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করতে দেখা যায় একাধিক আইনজীবীকে। এরপরই বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর। হুমকি, উস্কানিমূলক মন্তব্য, কটুক্তি, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি এমনকী শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগে শনিবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয় কৌস্তভ বাগচীকে।এরপই শনিবার দুপুরে তাঁকে ব্যাপক হই হট্টগোলের মধ্যেই ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। তাঁকে সমর্থন জানিয়ে আদালত চত্বরে বিক্ষোভে সামিল হন বাম এবং কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা।তাঁর হয়ে সওয়ান করেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।অবশেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করে আদালত।আইনজীবীদের মতে, এই ঘটনায় নিঃসন্দেহে এক বড় ধাক্কা কলকাতা পুলিশের তরফে।
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, এদিন প্রথম থেকেই একে একে প্রচুর সংখ্যক আইনজীবী কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর হয়ে কোর্টে সওয়াল করতে শুরু করেন। তাঁদের প্রত্যেকেরই বক্তব্য, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ এফআইআর দায়ের হয়। এরপর রাত আড়াইটে নাগাদ কৌস্তভের বাড়িতে চড়াও হয় পুলিশ। বেআইনিভাবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। একইসঙ্গে ৪১ সি ধারার ব্যবহার না করেই তাঁকে লক আপে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও জানান আইনজীবীরা। এরপরই কোর্টে সওয়াল শুরু করেন আইনজীবী তথা বাম সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর যুক্তি ছিল, যে সমস্ত জামিন অযোগ্য ধারাগুলিতে কৌস্তভকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁর কোনওটিরই সাজা সাত বছরের অধিক নয়। ফলে এখনই গ্রেপ্তারের প্রয়োজন পড়ে না। এদিকে আবার পুলিশের তরফের আইনজীবী লাগাতার যুক্তি দেখান, কৌস্তভের আচরণ এবং মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর এবং অশালীন মন্তব্য করার কথা।
তবে কৌস্তভের পক্ষে জোরাল সওয়ালে আইনজীবীরা জানান, যে বইয়ের সম্পর্কে কৌস্তভ বলেছিলেন, সেই বই বাজারেও বিক্রি হয়। এরপরই হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে কংগ্রেস নেতার জামিন মঞ্জুর করেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক।
কৌস্তভের জামিন নিয়ে আশাবাদী ছিলেন বাবা এবং মাও। তাঁরাও জামিনের খবর উচ্ছ্বসিত তাঁরাও। দু’জনেই বলেন, ‘জানতাম আমাদের ছেলের জয় হবেই। ওঁর জন্য আমরা গর্বিত।’ এদিকে সূত্রে এও খবর, কৌস্তভও লক আপে নিয়ে যাওয়ার আগে বার বার একটাই কথা বলছিলেন, ‘মাতৃসম মুখ্যমন্ত্রী পুত্রসম কৌস্তভ বাগচীকে ভয় পেয়েছেন।’