দিল্লি যাওয়া ঠেকাতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। শনিবার সেই মামলাই ওঠে কলকাতা হাই কোর্টে। এই প্রসঙ্গেই সামনে আসে অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অসুস্থতার প্রসঙ্গও। ইডি-র আইনজীবী এদিন শুনানিতে আদালতে জানান, , অনুব্রত মণ্ডলকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে ফেরত আনা হয়েছে। একইসঙ্গে এদিন ইডি-র ইনজীবী এও জানান, ‘ওঁর চিকিৎসার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হবে ইডি-র তরফ থেকে। প্রয়োজনে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে দিল্লি এইমসে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। উল্লেখ্য, ফিসচুলা ফেটে গিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তিনি, এমনটাই আসানসোল আদালতে দাবি করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। শনিবার সকালে তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্যের একটি দলও গঠন করা হয়। হাসপাতালের সুপার জানিয়েছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলের ওজন কিছুটা বেড়েছে। এরপরেই তাঁকে সংশোধনাগারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এরই পাশাপাশি এদিন ইডি-র আইনজীবী আদালতে এও জানান, ‘দিল্লি হাই কোর্টে এই একই ইস্যুতে মামলা দায়ের করা হয়েছে এই বিষয়টি বলা হয়নি কলকাতা হাই কোর্টে। এটা ফোরাম শপিং ছাড়া আর কিছু নয়। একই বিষয় নিয়ে ঘুরে ঘুরে অর্ডার পাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’ যদিও অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী বলেন, ‘দুই আদালতে আবেদন দু’রকম করা হয়েছে।’
এদিকে এদিন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী জানান, ‘ইডি দিল্লি হাই কোর্টে আশ্বাস দিয়েছিল এখনই কোনও পদক্ষেপ করবে না।’ এরপরই অনুব্রতর আইনজীবীর কাছে বিচারপতি জানতে চান, ‘আপনারা মৌখিক বক্তব্যের ভিত্তিতে এখন এই আবেদন করেছেন? চার মাস এই মৌখিক আশ্বাসের ভরসাতে ছিলেন। কেন তা রেকর্ড করলেন না?’ প্রত্যুত্তরে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী পালটা দাবি করেন ২১ ডিসেম্বর ইডি-র তরফ থেকে মেল করা হয় জেল কর্তৃপক্ষকে। সেখানেই জানানো হয়েছিল যে এখন কোনো পদক্ষেপ করা হবে না।’ একইসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ করে তাঁর আইনজীবীর আর্জি, বিশেষজ্ঞকে দিয়ে তাঁর চিকিৎসা করানো হোক এবং তা আদালতে জানানো হোক। আর সেই সময়ের জন্য ৭ মার্চ পর্যন্ত দিল্লি নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ চান তাঁর আইনজীবী। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে কিনা বা সেই বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ কলকাতা হাই কোর্ট করবে কিনা এখন সেদিকে তাকিয়েই আইনজীবী ও রাজনৈতিক মহল।