সর্বসমক্ষে না এলেও অবশেষে ফোনে মুখ খুললেন হৈমন্তী। জানালেন, ‘দুর্নীতির সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন যে কোনও ভাবেই এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই।’ সূত্র খবর শুক্রবার নাকি এমনটাই জানিয়েছেন গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কুন্তলের ঘোষের মুখে শোনা গিয়েছে গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। তাঁর ফ্ল্যাটের সামনে থেকে বেশ কিছু রহস্যজনক কাগজ উদ্ধার হতেই আরও বাড়ে রহস্য। সূত্রের খবর, ওই সমস্ত কাগজে ছাপার অক্ষরে লেখা রয়েছে একাধিক সিরিয়াল নম্বর ও রোল নম্বরের মতোই কিছু সংখ্যা। যা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য। অনেকেই দাবি করেছিলেন ওটা চাকরির সুপারিশের লিস্ট। চাকরিপ্রার্থী তথা টেট আন্দোলনকারী অচিন্ত্য সামন্তের দাবি, হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের সামনে পাওয়া নথিই প্রমাণ করে ব্যাপক হারে দুর্নীতি হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। অনেককেই সুপারিশ করা হয়েছিল চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য।
এ প্রসঙ্গে হৈমন্তীর স্পষ্ট দাবি, ‘আমি দীর্ঘদিন আমার বাড়িতে ছিলাম না। কেউ যদি কোনও জিনিস আমার বাড়ির সামনে, আবর্জনায় বা বাড়ির সামনের রাস্তায় ফেলে আসেন, সেই দায় কী আমার?’ প্রসঙ্গত, হৈমন্তীর সঙ্গে গোপাল দলপতির বিয়ে হয় ২০১১ সালের শেষ দিকে। এই হৈমন্তীর নামে মস্ত কোম্পানিও খুলেছিলেন গোপাল। এদিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর আগে চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে গোপালের। গিয়েছেন জেলেও। এরপর সংবাদমাধ্যমের কাছে ফোনের মাধ্যমে শুক্বার মুখ খোলেন হৈমন্তী। বে তিনি কোথায় রয়েছেন তা জানাতে চাননি।উল্লেখ্য, সম্প্রতি হৈমন্তী গঙ্গোপাধযায়ের মাও দাবি করেছিলেন তাঁর মেয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন।একইসঙ্গে হৈমন্তীর মা এ আশ্বাসও দেন, তাঁর মেয়ে অসৎ নয়। ও সামনে আসবে। সব বলবে। কিন্তু কবে আসবে সেটা আমি জানি না। ও আসবেই সামনে।’ তারও আগে শুক্রবার হাওড়ার উত্তর বাকসাড়া এলাকায় হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়িতে এই হৈমন্ত্রীর মায়ের গলাতেই ঝরে পড়েছিল বিরক্তির সুর।বলেছিলেন মেয়ে মারা গিয়েছে। পরে অবশ্য নিজের অবস্থান বদলে মেয়ের পাশে দাঁড়ান হৈমন্তীর মা।