নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের নতুন তথ্য এল তদন্তকারীদের কাছে।এবার দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা সোমা চক্রবর্তী নামে এক মহিলার নাম উঠে এসেছে। এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট সূত্রে খবর, ওই মহিলার অ্যাকাউন্ট স্কুটিনি করে বেশ কিছু নতুন তথ্য পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি কুন্তল ঘোষের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে সোমার অ্যাকাউন্টে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করা হয় ইডির তরফ থেকে। কীসের জন্য এই লেনদেন হয়েছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।তারই জেরে শুক্রবারই সোমাকে সিজিও কম্পলেক্সে তলব করা হয় ইডি-র তরফ থেকে। ইডি- সূত্রে খবর, এদিন দুপুরেই সোমা হাজির হন সিজিও কমপ্লেক্সে। সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা সোমা চক্রবর্তী এক পার্লারের মালিক। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, পার্লার ব্যবসায় কোনওভাবে টাকা খাটাতেন কুন্তল নাকি এই মহিলার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অন্য কোনও ব্যবসাতেও টাকা গিয়েছে। এসব উত্তরের খোঁজেই সোমাকে তলব ইডি-র তরফ থেকে।
এদিকে কুন্তলকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কুন্তল সোমাকে চেনেন না বলে দাবি করেন। শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে বেরোনোর সময় তিনি বলেন, যার সঙ্গে যোগাযোগ আছে তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন। গোপাল দলপতি যে রহস্যময়ী অভিনেত্রীর কথা বলছেন, আমি চিনি না তাঁকে। হৈমন্তীকে বাঁচানোর জন্য গোপাল একথা বলেছেন। হৈমন্তীর কাছেই টাকা আছে বলে ফের দাবি করেন কুন্তল। অন্যদিকে এদিন আদালতে ইডি আইনজীবী বলেন, আমরা ১০ জন এজেন্টদের বয়ান নিয়েছি। যেখানে তারা জানিয়েছে, ২০০ জন প্রার্থীদের থেকে তাঁরা টাকা তুলে কুন্তলকে দিয়েছেন। মোট ১৬ কোটির টাকা দেওয়া হয় কুন্তলকে। প্রতি চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে নেন কুন্তল। ওই টাকা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছে বলে দাবি ইডির।
শুধু তাই নয়, বিএড ও ডিএলএড কলেজের অনুমোদনের জন্যও টাকা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান আইনজীবী। তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে পার্থ ও মানিকের প্রভাবকে কাজে লাগানো হয়েছে।জেলে গিয়ে জেরার আবেদন করেন ইডি। বিচারকের প্রশ্ন, গত ১৪ দিনে মামলার কী অগ্রগতি হয়েছে। এর প্রক্ষিতে তদন্তকারী অফিসার বিচারকের কাছে গিয়ে বেশকিছু নথি দেখান। সাড়ে ৬ কোটি টাকা যে টাকা উদ্ধার হয়েছিল, তা কোথা থেকে এল, সে বিষয়ে কোনও উত্তর দিতে পারেননি ইডির আইনজীবী।