ফের ২ শিশুর মৃত্যু বিসি রায় হাসপাতালে

রাজ্যে ফের শিশু মৃত্যুর ঘটনা। অ্যাডিনো ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে কয়েকদিনের মতো শুক্রবারও রাজ্যে শ্বাসকষ্টের জন্য শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ও শুক্রবার সকালে বিসি রায় হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সূত্রে মারফত জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। সূত্রের খবর, মৃত দুই শিশুই অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল। তবে সরকারিভাবে এই নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

বিসি রায় হাসপাতাল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বারাসতের বাসিন্দা ১০ মাসের শিশুর বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল ওই একরত্তি। এরপরই বৃহস্পতিবার রাতেই মারা যায় ও ১০ মাসের শিশুটি।

এদিকে শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ বিসি রায় হাসপাতালে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি বারুইপুর হাসপাতালে ওই শিশুকে ভর্তি করা হয়েছিল। সুস্থ থেকে সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন সেবা সদন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চারদিন আগে তাঁকে বিসি রায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।

এদিকে এই দুই শিশুর মৃত্যুর পর তাদের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। যথাযথ পরিষেবা না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। অ্যাডিনো ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই দুই শিশুর মৃত্যর ঘটনায় নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।

এদিকে অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অ্যাডিনো নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, ‘অ্যাডিনো নিয়ে আতঙ্ক হওযার কোনও কারণ নেই। যে কোনও শিশুর মৃত্যুই আমাদের কাছে অত্যন্ত দুঃখের। আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য অনেক শিশু অসুস্থ হচ্ছে। মাত্র ২জনের অ্যাডিনো ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫ হাজার বেড ও ৬০০ জন চিকিৎসককে তৈরি রাখা হয়েছে।’ এদিকে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ‘এটা সেরম কোনও ঘটনা নয়। কোভিডের পর থেকে মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সেই কারণে কোনও কিছু হলেই সবাই ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। সরকারের তরফে সব বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। শিশুদের বাইরে বের করার কোনও প্রয়োজন নেই। মায়েরা বাচ্চাদের একটু বাড়তি যত্ন নিলে ভালো হয়।‘

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − eleven =