ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্যের প্রতিবাদে সরব কলকাতা পুরসভার বামপন্থী ক্লার্কস ইউনিয়নের কর্মীরা। কারণ, মঙ্গলবার, রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তার জেরে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয় পুরনিগমের সরকারি কর্মচারীদের একাংশের অন্দরে। এরপরই বুধবার কলকাতা পুরনিগমে পেন ডাউন করে বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা যায় রাজ্য় সরকারি কর্মচারিদের একাংশকে। তাঁদের নিশানায় রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। একইসঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের উদ্দেশে আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি, ‘যদি বেতন দিতে না পারেন, চেয়ার ছেড়ে চলে যান।’কারণ, বকেয়া ডিএ-র দাবি রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশের বিক্ষোভকে কটাক্ষ করে মঙ্গলবার ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘না পোষালে ছেড়ে দিন।’ সরকারের কাছে কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেই ব্যাখ্যাও এদিন দিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্বয়ং।
মঙ্গলবার কলকাতার মহানাগরিক মঙ্গলবার এ প্রশ্নও তোলেন, ‘কোনটা প্রাধান্য হওয়া উচিত? যে লোকটা রেশন পাচ্ছেন না তাঁকে বিনামূল্যে রেশন পৌঁছে দিয়ে তাঁর মুখে অন্ন তুলে দেওয়া, নাকি যিনি ৪০ হাজার টাকা বেতন পান তাঁর কেন ৬০ হাজার টাকা হচ্ছে না সেটা আগে দেখা? কেন্দ্রীয় সরকার যখন অনেক টাকা দিচ্ছে তাহলে সেখানে গিয়েই যোগ দিন।’ মেয়রের এই মন্তব্যের পর থেকেই শোরগোল পড়ে রাজ্য রাজনীতিতে। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থানকারীরাও।
এবার এই প্রতিবাদে সামিল পুরনিগমের সরকারি কর্মচারীদের একাংশও। বামপন্থী ক্লার্কস ইউনিয়নের কর্মীরা মঙ্গলবারের ফিরহাদের বক্ব্যের প্রেক্ষিতে জানান, ‘ফিরহাদ হাকিম যে বাজে মন্তব্য করেছেন, বেতন যাঁদের পোষাচ্ছে না, তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ করুন, তারই প্রতিবাদে পেন ডাউন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি পুরনিগমের আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়ে এ প্রশ্নও তোলেন, ‘বেতন কি উনি নিজের পকেট থেকে দেন, নাকি ওঁনার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে দেন? বেতন সরকারি কর্মচারিদের হকের টাকা। যদি এতটাই ক্ষমতা থাকে, হাই কোর্টে দাঁড়িয়ে বলুন না, যাঁরা ডিএ চাইছে, তাঁদের কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ করতে।’