প্রাথমিকে শতাধিক শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ১৫০৬ পদে নিয়োগের তালিকা প্রকাশ হলেও ৩২৮ টি পদ ফাঁকাই রয়েছে। বুধবারের শুনানিতে সেই সব পদ অবিলম্বে পূরণের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মেধার ভিত্তিতে এদিন সেই শূন্যপদ পূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক কেলেঙ্কারির মধ্যেও এদিন এই নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে যখন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল, তখন টেট পরীক্ষা নেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল না। পরে ২০১২ সালে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০২২-এ ফল প্রকাশ হলেও সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলায় নিয়োগ আটকে ছিল দীর্ঘদিন। ডিপিএসসি-র দাবি ছিল, এক্স সার্ভিসম্যান ক্যাটাগরি, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোটায় পর্যাপ্ত প্রার্থী পাওয়া যায়নি বলেই ৩২৮ টি শূন্যপদ ফাঁকা রাখা হয়।
এদিকে আদালত সূত্রে খবর, শুধু ৩২৮ জন নয়, আরও ৫ শতাংশ বেশি অর্থাৎ আরও ৯২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত সূত্রে এও খবর, আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করে নিয়োগ করবে পর্ষদ। পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও নিয়োগ নিয়ে অনেক দিন ধরে মামলা চললে, ৫ শতাংশ বেশি শূন্যপদে নিয়োগ করা হয়। সেই রীতি মেনেই এই ৯২ জনের নিয়োগের কথা বলা হয়। আদালতের নির্দেশ মতো, তালিকা প্রস্তুত করবে ডিপিএসসি। সেই তালিকা পাঠানো হবে পর্ষদে।
চাকরির দাবিতে মামলাকারীরা অনেকেই গান্ধিমূর্তির পাদদেশে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়েছেন। এদিনের এই রায় নিঃসন্দেহে তাঁধের কাছে এক বড় জয়।