মার্চ মাসের শুরুতেই আমজনতার পকেটে জোর ধাক্কা। কারণ, প্রতি সিলিন্ডার পিছু অনেকটাই বাড়ল গ্যাসের দাম।তিন রাজ্য ভোট মিটতেই গ্যাসের দামে এই রেকর্ড বৃদ্ধি নজরে আসে মাসের শুরুতেই। গার্হস্থ্য সিলিন্ডারের পাশাপাশি দাম বাড়ল বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারেরও।কলকাতাসহ গোটা দেশেই গ্যাসের এই দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। কলকাতায় গার্হস্থ্য সিলিন্ডারের দাম প্রতি সিলিন্ডারে বেড়েছে ৫০ টাকা। ফলে মার্চ মাস থেকে নতুন ১৪.২ কেজির সিলিন্ডার নিতে আমজনতার খরচ হবে ১১২৯ টাকা। আগে এই দাম ছিল ১০৭৯ টাকা। গত ২০২২ সালের জুলাই মাসের পর এই প্রথম কলকাতায় বাড়ল এলপিজি সিলিন্ডারের দাম।
গার্হস্থ্য ব্যবহারের জন্য গ্যাস সিলিন্ডারেই শুধু নয়, একইসঙ্গে দাম বেড়েছে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারেরও। বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কলকাতায় বেড়েছে ৩৫২ টাকা। যার জেরে হোটেল, রেস্তোরাঁয় ব্যবহৃত ১৯ কেজির গ্যাস সিলিন্ডারের জন্য গুনতে হবে ২২১৯.৫০ টাকা।
কলকাতা বাদ দিয়ে যদি দেশের অন্য শহরের দিকে নজর দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে দেখা যাবে দিল্লিতে ঘরোয়া এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয়েছে ১১০৩ টাকা। অন্যদিকে রাজধানী শহরে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম রয়েছে ২১১৯.৫০ টাকা।
এদিকে বাণিজ্য নগরী মুম্বই শহরে গার্হ্যস্থ সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয়েছে ১১০২.৫০ টাকা। যা আগে মিলতো ১০৫২.৫০ টাকায়। চেন্নাইতে ৫০ টাকা দাম বৃদ্ধির পর ঘরোয়া এলপিজির দাম বেড়ে হয়েছে ১১১৮.৫০ টাকা। দেখা যাচ্ছে দামের নিরিখে কলকাতাতেই এলপিজি সিলিন্ডারের দাম রয়েছে সবচেয়ে বেশি।
এখানে একটা কথা বলে রাখা শ্রেয়। গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি হলে শুধুমাত্র যে রান্নার খরচ বৃদ্ধি পায়, বিষয়টি মোটেই তেমন নয়। চাপা বাড়ে সংসারের মাসিক বাজেটেও। এর ওফর একলাফে ৩৫২ টাকা বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধিতে হোটেল, রেস্তোরাঁতে খাবারের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হচ্ছে বিরোধীরা।কারণ, এমনিতেই নিত্য প্রয়োজনীয় নানা জিনিসের দাম বৃদ্ধির জেরে নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণি খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে। তারমধ্যেই আবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে সমস্যা বাড়ল সাধারণ মানুষের। মূলত বিভিন্ন রাজ্যে স্থানীয় করের উপরের ভিত্তি করেই বিভিন্ন রাজ্যে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হয় বিভিন্ন। তেল সংস্থাগুলি সাধারণ ভাবে মাসের শুরুতেই এই দাম বৃদ্ধি করে। সম্প্রতি দেশের ৩ রাজ্যে ভোট মেটার ২ দিনের মধ্যেই গ্যাসের এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।